কেমন খেতে বাদুড়ের মাংস? চিকেনের মতোই নাকি তার চেয়েও সুস্বাদু? খুব সহজে এই প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া কঠিন। তবে কষ্ট করলে পাওয়া যাবে না, এমন নয়। ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর সালেম জেলা। বাদুড় শিকারের পর রান্না করে মুরগির মাংস বলে বিক্রির অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিনদু'য়েক আগে থোপ্পুর রামাস্বামী রেঞ্জের জঙ্গলে গুলির শব্দ শুনতে পান বনকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে বনে অভিযান চালান ফরেস্ট রেঞ্জাররা। ফরেস্ট রেঞ্জার বিমল কুমারের নেতৃত্বে শুরু হয় অভিযান। বনকর্মীদের অভিযোগ, জঙ্গলে ঢুকতেই দুই যুবককে বাদুড় মারতে দেখেন ফরেস্ট রেঞ্জাররা। সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করা হয় কামাল ও সেলভম নামে ওই দুই যুবককে। এরপরেই তাদের আসল কীর্তি ফাঁস হয়। অভিযোগ, ওই বাদুড়ের মাংস মুরগির মাংস বলে বাজারে বিক্রি করত তাঁরা। তাঁরা স্ট্রিটসাইড স্টলে এই মাংস বিক্রি করছিলেন। মানুষ চিলি চিকেন ভেবে সে সব দেদার কিনছিলেন এবং খাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে পুলিশ বলছে, এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কখনও বেড়াল, কুকুর, ইঁদুরের মাংস চিকেন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টা নিয়ে সতর্ক থাকতে চাই। ফলে, বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় হোটেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গত বছর জুলাই মাসে বেঙ্গালুরু স্টেশনে সন্দেহজনক মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাছে অভিযোগও জমা পড়ে। শুরু হয় তদন্ত।বেঙ্গালুরু স্টেশন থেকে ওই মাংসের নমুনা নিয়ে আসে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। শুরুর দিকে বেশ কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ওই মাংস কুকুরের। তবে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া রিপোর্টে জানায়, কুকুরের নয়, ওটা আসলে ভেড়ার মাংস।
বাদুড়ের মাংসে বিপদ
ফ্রুট ব্যাট। এদেরকে ফ্লাইং ফক্স বা লার্জ ব্যাটও বলা হয়। এদেরকে এশিয়া আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায়। ততটা ক্ষতিকর নয় এরা। মূলত ফলমূল খায়। তবে, তারা ভয়ংকর সব রোগের জীবাণু বহন করে। নিপা, হেন্ড্রা, মারবার্গ, ইবোলা-র মতো রোগের বাহক এরা। ফলে বাদুড়ের মাংস খেলে এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।