শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের জেহাদি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ২৩ জন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে ভারতে। অসম পুলিশের এসটিএফ এবং এনআইএ হাত মিলিয়ে এই জেহাদি দমন অভিযানে নেমেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। একইসঙ্গে, তিনি দাবি করেছেন, যে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির কারণে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েছে। এনিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: অসমের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল, মন্ত্রিত্বে চার নতুন মুখ আনলেন হিমন্ত
হিমন্ত শর্মা বলেন, ‘আমরা একটি বড় সন্ত্রাসী মডিউল ফাঁস করেছি। অসম, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছি।’ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পক্ষেত্র ভেঙে পড়ার কারণে রোজগারের আশায় প্রতিদিন বহু বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। তিনি বলেন, ‘অসম এবং ত্রিপুরার পুলিশ প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করছে। আর যারা গ্রেফতার হচ্ছে তারা। বেশিরভাগই হলেন পোশাক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক।’
হিমন্ত দাবি করেছেন, যেহেতু বাংলাদেশে পোশাক শিল্প ভেঙে পড়েছে তাই সেখানকার শ্রমিকদের কম টাকায় পেতে ভারতের অনেক পোশাক কারখানার মালিক তাদের ভারতে অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই এই সমস্যা নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দু’দিন আগে, আমি ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা গত উত্তর পূর্ব কাউন্সিলের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি।’ এত অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই উদ্বেগজনক। কারণ এত বেশি অনুপ্রবেশকারী এর আগে কখনও ভারতে আসেনি।’
তিনি জানান, কেন্দ্র এবিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছে। যেসমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি অল্প পরিশ্রমের বদলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি জানান, গত পাঁচ মাসে এক হাজারেরও বেশি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে তা সত্ত্বেও তারা অনুপ্রবেশ করছেন না, বরং অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের।