Viral post: হোমিওপ্যাথিকে একহাত নিলেন লিভারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এমনিতে এই ঘটনা একেবারে নতুন নয়। অ্যালাপ্যাথির সঙ্গে হোমিওপ্যাথির এই ঠান্ডা লড়াই দীর্ঘদিনের।
হোমিওপ্যাথিকে একহাত নিলেন লিভারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এমনিতে এই ঘটনা একেবারে নতুন নয়। অ্যালাপ্যাথির সঙ্গে হোমিওপ্যাথির এই ঠান্ডা লড়াই দীর্ঘদিনের। একটি অন্যটিকে দুচক্ষে সহ্য করতে পারে না। বহুদিন ধরেই এমনটা চলে আসছে। মাঝে মাঝে নানারকম অভিযোগ তুলে একে অপরের বিরুদ্ধে ‘নারদ নারদ’ বলে লেগেও পড়ে। তবে এবারের ঘটনা সেই সবের থেকে আলাদা। এবারের অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ অভিযোগটিই এমন গুরুতর। সম্প্রতি একটি বহুল ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়েই উঠল অভিযোগ।
লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সিরিয়াক অ্যাবি ফিলিপস সর্দি কাশির ওষুধ নিয়েই এমনটা বলেন। তাঁর টুইটার পোস্টে তিনি দাবি করেন, ফিলোকফ হোমিওপ্যাথি ওষুধে ৪০ শতাংশ অ্যালকোহল মেশানো রয়েছে! আর এই ওষুধটিই শিশু কিশোরদের সর্দি কাশি হলে দেওয়া হয়। এসবিএল সংস্থার বানানো এই ওষুধ নিয়ে রীতিমতো সোচ্চার হন চিকিৎসক সিরিয়াক অ্যাবি। আরেকটি বিষ্ফোরক দাবি করেন তিনি। ওষুধের উপকরণের একটি ছবি তুলে পোস্ট করেন অ্যাবি। সেখানে দেখা যায়, ওষুধটির একটি উপাদান হল বি ওরিয়েন্টালিস। অর্থাৎ ব্লাটা ওরিয়েন্টালিস। যা আদতে মরা আরশোলার অঙ্গ। এর সঙ্গেই নাকি আদা ও মদ মিশিয়ে তৈরি করা হয় হোমিওপ্যাথি ওষুধ! ছবিগুলির ক্যাপশনে রীতিমতো ব্যঙ্গ ফুটে ওঠে হোমিওপ্যাথি ওষুধকে নিশানা করে।
তীব্র ভাষায় আরও কিছু কথা লেখেন চিকিৎসক সিরিয়াক অ্যাবি। তার কথায় ‘এবার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা বলতে আসবেন, আমরা আরশোলার পরিমাণ অনেকটা লঘু করে দিই। তাই এতে আরশোলা নেই বলাই ভালো। তাহলে কী আছে? শুধু অ্যালকোহল আর আদা? এর কোনও মানে আছে? এবার বুঝতে পারছি কেন লোকে এত হোমিওপ্যাথি ভালোবাসে। এই ধরনের ওষুধ এখনও টিঁকে আছে কী করে সেটাই বড় প্রশ্ন!’