বিভিন্ন জিমই ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে এমআরএসএ সুপারবাগের আঁতুড়ঘর! সম্প্রতি ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে এই তথ্য। দ্য টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, খেলার সঙ্গে যুক্ত ও শরীরচর্চা করতে ভালোবাসেন যারা, তাদের মধ্যে এই জীবাণু বেশি ছড়াচ্ছে। কারণ তারা একই জিনিস ভাগাভাগি করে ব্যবহার করেন। ব্রিটেনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে।
আগে দেখা যেত শুধু হাসপাতাল চত্বরে
এমআরএসএ সুপারবাগ তথা জীবাণুর পুরো নাম মেথিসিলিন-রেজিস্ট্যান্ট স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস। এতদিন মূলত হাসপাতাল চত্বরেই দেখা যেত এই জীবাণু। যে কারণে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যেই মূলত সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি ছিল। সংক্রমিত হতেনও কেউ কেউ। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, যারা বেশ সুস্থ শরীরচর্চা করেন, তাদের মধ্যে বাড়ছে এই সংক্রমণের ঝুঁকি।
আরও পড়ুন - কার্ডিয়ো করার পরেও কমছে না মেদ? সম্ভাব্য কারণ জানালেন চিকিৎসক
কী করে এই জীবাণু?
গবেষকদের কথায়, এমআরএসএ সুপারবাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তি সঞ্চয় করে অনেকটা বিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এটি সুস্থ সবল তরুণদেরও আক্রমণ করছে। এমআরএসএ সুপারবাগ বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে একজনের কোনও রোগ বা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে অনেকটা সময় লাগে।
কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়?
মূলত ত্বকে ত্বকেসংযোগ হলে এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও, যারা অনেকের ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে এই রোগ বেশি ছড়ায়। যেমন জিমে অনেকেই একই ইকুইমেন্ট ব্যবহার করেন। আবার খেলার মাঠেও একই বল অনেককে ব্যবহার করতে দেখা যায়। এছাড়াও, ট্রেন-বাসের সিট, হাতল থেকেও ছড়াতে পারে এই জীবাণু।
আরও পড়ুন - পুজোয় জম্পেশ ভুরিভোজ করেও যত্ন নেওয়া যায় স্বাস্থ্যের! স্পেশাল টিপস চিকিৎসকের
কীভাবে এই সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব?
এমআরএসএ সুপারবাগের সংক্রমণ এড়াতে হলে রোজকার রুটিনে কিছু কাজ অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
- যাঁরা নিয়মিত জিম করেন, খেলেন, ট্রেন বা বাসে চড়েন, তাদের বাড়ি ফিরে স্নান করতে হবে অবশ্যই।
- অন্যের ব্যবহৃত গামছা, তোয়ালে, দাড়ি কাটার রেজার, সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
- শেয়ারড ইকুইপমেন্ট অর্থাৎ ভাগাভাগি করে ব্যবহৃত জিনিসের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। সেই হাত মুখে, কানে, নাকে, চোখে দেওয়া যাবে না।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।