২০১০ সালে 'বীর' ছবি দিয়ে বিনোদন জগতে পা রেখেছিলেন জারিন খান। এরপর তিনি ‘জট জেমস বন্ড’, ‘হেট স্টোরি ৩’, ‘বীরগ্রান’, ‘আকসার ২’-এর মতো অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। 'আকসার' ছবিটি ২০১৭ সালে মুক্তি পায়। আর তখন ছবিটি নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছিল। জারিন জানান, নির্মাতারা তাঁকে সাহসী দৃশ্য করতে এক প্রকার বাধ্য করেছিলেন। সম্প্রতি জারিন এক সাক্ষাৎকারে পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: শেষ হল 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে...'-এর শ্যুটিং! ‘ছয় বছরের স্বপ্ন…’, পুরী থেকে বার্তা সৃজিতের
নায়িকা হিন্দি রাশকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে কথা বলেন। ‘আকসার ২’-এর বিতর্ক সম্পর্কে তিনি জানান যে, যখন অনন্ত মহাদেবন তাঁকে ছবিটির গল্প শুনিয়েছিলেন তখন তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল যে, তিনি একটি হিট ছবির সিক্যুয়েলের অংশ হতে চলেছেন। তিনি আরও জানান যে, তিনি পরিচালককে জিজ্ঞাসাও করেছিলেন যে, কোনও ঘনিষ্ট দৃশ্য আছে কিনা? তখন তাঁকে বলা হয়েছিল যে, তিনি এই ধরনের কোনও গল্প বানাচ্ছেন না।
জারিন জানান তাঁকে বলা হয়েছিল যে, ছবিতে খুব বেশি অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকবে না। অভিনেত্রীর কথায়, 'যখন শ্যুটিং শুরু হয়েছিল, তখন কয়েকটি দৃশ্যের ফাঁকে ফাঁকেই একটা করে চুমু খাওয়ার দৃশ্য রাখা হচ্ছিল। কোথাও কিছু একটা ঘটছে বলে আমার বার বার মনে হচ্ছিল। আমার কাছে এই বিষয়টা খুবই অদ্ভুত লেগেছিল।'
আরও পড়ুন: আর্যর বুকে মাথা রেখে মীরার কান্না, দূরত্ব অপর্ণার সঙ্গে! ‘আর দেখবো না…’, রেগে লাল দর্শকরা
জারিন জানান, প্রজেক্টটি শুরুর আগে তাঁকে এই সব কথা খোলসা করা বলা হয়নি। তাঁর কথায়, 'যখন আপনি সেটে যান, আর গিয়ে প্রতিদিনই দেখেন কিছু না কিছু চমক থাকছে, তখন এটা খুব স্বাভাবিক যে আপনি প্রতিক্রিয়া জানাবেন। তাই আমিও সেভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাই।'
অনন্ত মহাদেবন সম্পর্কে জারিন বলেন, ‘তিনি আমার সামনে প্রযোজকদের একটি কথাও বলতে পারতেন না, তাই তিনি প্রযোজকদের কাছে যেতেন আর আমার সম্পর্কে নানা কথা বলতেন। অন্যদিকে, আমার কাছে এসে বলতেন যে, প্রযোজকরা আমাকে চাপ দিচ্ছেন। আমি কী করতে পারি? শেষ পর্যন্ত, তাইই হল, আমি খারাপ হয়ে গেলাম।’
জারিনের কথায়, ‘ওঁরা আমাকে যেখানে প্রয়োজন ছিল না সেখানেও চুমু খেতে বলত। এক সময় ওঁরা আমাকে এমন পোশাক দিত যা আমাকে পরতে হত। হঠাৎ করেই ওঁরা খুব অদ্ভূত ব্যবহার শুরু করেছিল আমার সঙ্গে।’