১৪ জুন সকালে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঘরে ঢুকে তাঁকে কী অবস্থায় দেখেছিলেন, সম্প্রতি রুমমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি তা ফাঁস করলেন এক সাক্ষাৎকারে।
সিদ্ধান্র্থ জানিয়েছেন ওই সকালে তিনি যখন চা পান করছিলেন, সেই সময় তাঁদের রাঁধুনে কেশব এসে জানান যে, সুশান্ত ঘরের দরজা খুলছেন না। এ দিকে লাঞ্চে কী খাবেন, তা জানতে সুশান্তের সঙ্গে কেশবের কথা বলা দরকার ছিল।
কেশবের কথা শুনে খানিক পরে দোতলায় উঠে সুশান্তের ঘরে টোকা মারেন সিদ্ধার্থ। তাঁর নাম ধরে ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু দরজা খোলেনি। ঘরের ভিতর থেকে কোনও সাড়া দেননি সুশান্ত। এর পর একতলায় নেমে হাউজকিপার দীপেশকে বিষয়টি জানান সিদ্ধার্থ।
সিদ্ধার্থের দাবি, এর পর ফের তিনি ও দীপেশ মিলে সুশান্তের ঘরের দরজায় ধাক্কা দিয়ে হাঁকডাক করেন, কিন্তু তাতেও সাড়া মেলে না। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমনরা এত জোরে শব্দ করছিলাম যে নীচতলা থেকেও শোনা যাচ্ছিল। শেষে আমি ঠিক করি, কোনও চাবিওয়ালা ডেকে এনে বন্ধ ঘরের দরজা খুলতে হবে। ইতিমধ্যে আমি সুশান্তের দিদি মিতু সিংকে ফোন করে জানাই যে, সুশান্ত দরজা খুলছে না।’
সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, এর পর চাবিওয়ালা ডেকে ঘরের ডুপ্লিকেট চাবি তৈরি করিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়। তার পর ঘরের দরজা খুলে সিদ্ধার্থই প্রথম ঘরে ঢোকেন। ঘরে ঢুকে সুশান্তকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলতে দেখেন সিদ্ধার্থ। তাঁর কথায়, সেই দৃশ্য খুবই ভয়াবহ ছিল।
সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই এবং সুশান্তের নাড়ি পরীক্ষা করি। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া পাইনি, তা ছাড়া ওর সারা শরীর ঠান্ডা ছিল। পরিবারের নির্দেশ পেয়ে আমি আত্মহত্যায় ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরো কেটে দেহ নামাই। তার পর দীপেশ আর আমি মিলে ওকে খাটে শুইয়ে দিই। ঠিক সেই সময় মিতুদিদি ঘরে ঢোকেন।’