বলি অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ৩০ বছর বয়স থেকে নিজের ডিম্বানু সংরক্ষণ করেছিলেন। যদিও বিদেশে অনেকেই এই কাজ করে থাকেন। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, ৩৫ বছর বয়সে নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন সোহা আলি খানও, কিন্তু একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি ডক্টর কিরণ কোহেলর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে স্যারোগেসি এবং সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, ৩৫ বছর বয়সে তিনি নিজেও ডিম্বানু সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেই সময় একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
সোহা বলেন, ‘আমি ৩৫ বছর বয়সে একজন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছিলাম। নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করার কথা বলতেই উনি আমায় বলেন, আমি অনেক বেশি বয়স্ক। তিনি আরও বলেন, আমার জরায়ু আমার মুখ দেখতে পারছে না! এই কথাটা সারা জীবন মনে থাকবে আমার।’
অভিনেত্রীর আক্ষেপ, সেই সময় ভারতে সঠিক ফার্টিলিটি সেন্টার না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। অনেক চিকিৎসক অভিনেত্রীকে জানিয়েছিলেন, ডিম্বাণু সংরক্ষণ করার প্রকৃত বয়স ২৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। যেহেতু সেই সময় তাঁর বয়স ৩৫ বছর ছিল, তাই নানান কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
বর্তমানে সোহা একটি কন্যা সন্তানের মা। যদিও তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মা হয়েছেন নাকি স্যারোগেসি প্রক্রিয়ায় মা হয়েছেন তা তিনি কখনও প্রকাশ্যে আনেননি। তবে যাই হোক না কেন, একমাত্র কন্যা ইনায়াকে পরম মমতায় মানুষ করছেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, ডিম্বাণু সংরক্ষণ তাঁরাই করেন যারা নিজেদের সুবিধামতো মা হতে চান। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই ডিম্বাণু সংরক্ষণের কাজ শুধুমাত্র তারকারা নন, অনেক সাধারন মানুষও করছেন এখন। সেই ভাবনা থেকেই নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করার চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন সোহা, যদিও তা বাস্তব রূপ নিতে পারেনি। বিদেশে এইভাবে মা হয়েছেন বহু নারী।