রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা অ্যাড-মৃণ এন্টারটেইনমেন্ট প্রা. লি. আয়োজিত ৫ম বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড এবং দ্বিতীয় কলকাতা রত্ন সম্মান-এর মঞ্চে দুই বাংলা তথা বি-টাউনের তারকারা উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিনের সন্ধ্যায় মানুষের পরিশ্রম আর সাফল্যকে সম্মান জানানো ছিল মূল উপলক্ষ্য।
আরও পড়ুন: রাধাষ্টমীতে মেয়ের মুখ দেখালেন গৌরব-চিন্তামণি! নাম রাখলেন রাস্মিতা, জানেন এই নামের মানে কী?
নানা গুণীজনের সমাবেশে এই সন্ধ্যা রঙিন হয়ে উঠেছিল। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও বি-টাউনের মন্দাকিনী -সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে চঞ্চল মন্দাকিনীর হাত থেকে পুরস্কার নেন। তারপর অনেক অনুরোধের পর ‘সাদা সাদা কালা কালা’ শুনিয়ে সকলকে মুগ্ধ করে দেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গান সম্পর্কে আর কী বলব। ওটা আমার কাজ নয়। আমাকে কেউ কোনও স্টেজে গান করতে বললে আমি দ্বিধায় পড়ে যাই, লজ্জা পাই, তারপরও যেহেতু এত মানুষ বলছেন সেই জন্য গাইলাম।’
কিছু দিন আগেই তাঁর কাজ নিয়ে প্রশংসা করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অ্যাওয়ার্ডের থেকেও কি সেই প্রশংসা বাক্য বেশি মূল্যবান? এই প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘বুম্বাদার মতো অভিনেতা, তিনি লেজেন্ড, তিনি যখন আমার বিষয়ে কিছু বলেন আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ি। ওঁর মুখের একটা কথা আমার জন্য অনেক বড় স্বীকৃতি। এটা আমার জন্য অনেক ভালো লাগার, অনেক সম্মানের।’
আরও পড়ুন: 'ও যা করেছে সেটা ভালোবাসা থেকেই…', 'দুই বাচ্চার মা…’ বিতর্কের মাঝে শুভশ্রীকে নিয়ে যা বললেন দেব
তাছাড়াও এদিন মন্দাকিনীও কলকাতার নস্টালজিয়ায় ভাসেন। তিনি জানান প্রায়ই তিনি কলকাতায় আসেন। কলকাতার অনুষ্ঠান, পুজো সবটাই নায়িকার মনে খুব কাছের। তাছাড়াও বাংলা ছবিও যথেষ্ট প্রশংসা করেন। একটা সময় তিনি প্রসেনজিতের বিপরীতে কাজ করেছিলেন আজ সেই প্রসেনজিৎ বলিউডেও সমান তালে কাজ করছেন। তিনি বাংলা ছবিতে কাজ করতে চান কি? প্রশ্নে নায়িকা বলে, ‘অবশ্যই চাই। ভালো চিত্রনাট্য পেলে অবশ্যই করব।’ কিন্তু বাংলার কোনও বিশেষ পরিচালকের সঙ্গে কি তাঁর কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে? সেই প্রসঙ্গ অবশ্য এড়িয়ে যান তিনি।
তাছাড়াও এই সুন্দর সন্ধ্যাকে আরও বর্ণিল করে তুলেছিলেন টলি ডিভা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। লাল শাড়ি সঙ্গে বিনুনীতে জুঁই ফুলের মালা, ভারী গয়নায় দারুণ দেখাচ্ছিল নায়িকাকে। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? প্রশ্নে নায়িকা বলেন, ‘দারুণ লাগল, মন্দাকিনীকে আমি বললাম যে, আমরা তখন অনেক ছোটো ছিলাম সেই সময় ওঁর ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ মুক্তি পেয়ে ছিল। সেটা আমাদের কাছে খুব ফ্যাসিনেটিং একটা ব্যাপার ছিল। তাই ওঁকে ট্রিবিউট দেওয়ার জন্য 'রোজ রোজ আঁখো তলে' গানটা একটু চেষ্টা করলাম।’