প্রায় ৪০ বছর ধরে জমিয়ে সংসার করছেন নাসিরুদ্দিন শাহ এবং রত্না পাঠক শাহ। তারকা দম্পতির দুই সন্তান ইমাদ এবং ভিভান। জনপ্রিয়তা, ব্যস্ততা, বি- টাউনের চোখধাঁধানো গ্ল্যামার কাটিয়ে কীভাবে এত বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দিলেন এই দুই জনপ্রিয় অভিনেতা? জবাব পাওয়া গেল নাসির-পত্নীর কাছ থেকেই।জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রত্না পাঠক শাহ জানিয়েছেন নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হওয়া থেকে বিয়ের দিনগুলোর কথা। যার থেকে পরিষ্কার সাদাসিধে, অনাড়ম্বরভাবেই এত বছর একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে 'হ্যাপিলি ম্যারেড' এর তকমা জিইয়ে রেখেছেন তাঁরা, এখনও। তা কী দেখে নাসিরুদ্দিনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন রত্না? হাসতে হাসতে নিজস্ব ভঙ্গিতে তিনি বললেন, 'নাসিরের সঙ্গে বিয়ে হওয়াটা অনেকটা লটারি কাটার মতো ছিল। যা খুশি হতে পারত। ঝুঁকি তো ছিলই। পরে দেখলাম আমাদের দু'জনেরই ভাগ্য ভালো ছিল!'সেটা ১৯৭৫ সাল। থিয়েটার করতে করতে আলাপ হয় নাসিরুদ্দিন এবং রত্নার। এই জুটির একসঙ্গে অভিনীত প্রথম নাটকের নাম ছিল 'সম্ভোগ সে সন্ন্যাস তক'। একসঙ্গে মহড়া দিতে সিটি প্রেমে পড়েন দু'জন। এরপর টানা সাত বছর চুটিয়ে প্রেম করে ১৯৮২ সালে বিয়েটা সেরে ফেলেন তাঁরা। এখানেই না থেমে নাসির-পত্নী আরও জানান যে তাঁদের বিয়ে সাধারণ রীতিনীতি মেনে একেবারেই হয়নি। হয়নি নিজের বাড়ি থেকে বিদায়বেলায় হাপুস চোখে কান্নাকাটি করাও। তাঁর বদলে বিয়ের গোটা সময়টা জুড়ে হাসি,মজা, খুনসুটি করেই কাটিয়েছিলেন তাঁরা। রত্নার কথায়, ' সমুদ্র সৈকতের ধরে গেছিলাম। আনন্দ করলাম চুটিয়ে, দারুণ সব খাবার খেলাম সঙ্গে মদ্যপান। সমুদ্রস্নান তো ছিলই। ব্যাস! বেশ মজা হয়েছিল।' নিজের বক্তব্য শেষে বলি-অভিনেত্রীর সংযোজন, 'খুব চাই আমাদের সুই ছেলের বিয়েও যেন এরকম সহজ অথচ দারুণ মজা করে হয়। তবে দু'জনের কারওর মুখেই বিয়ের নামগন্ধ পর্যন্ত নেই'।