ওটিটি মাধ্যমে সিরিজ তো এখন খুবই সাধারণ ব্যপার। তবে ওটিটি মাধ্যমে মেগা। হ্যাঁ, টিভি নয়, ওটিটিতে ধারাবাহিক, যা ক্লিকের হাত ধরে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। ক্লিকের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মেগা সিরিজ হল 'বাড়ুজ্জ্যে ফ্যালিমি' আর এবার সেখানেই গ্র্যান্ড এন্ট্রি হচ্ছে পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়ের।
বাড়ুজ্জ্যে পরিবারে নানা মুখের সমাহার। তাঁদের নানান সব মজাদার কাণ্ড কারখানা ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন ভরিয়ে রেখেছে। তার মধ্যেই এবার আগমন ‘সুখ’ আর ‘শান্তি’-র। জানেন কারা এই সুখ, শান্তি? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে পরিচয় করে নিন তাদের সঙ্গে।
নতুন গৃহসহায়ক হল ‘সুখ’। সে রান্না জানে, আবৃত্তি করে, এমনকি প্রেমও করতে চায়-সব মিলিয়ে যেন এক বহুমুখী প্রতিভার ঝলক। প্রথমদিকে ‘সুখ’-এ সবাই মুগ্ধ হয়। অন্যদিকে, শান্তি নামের এক মহিলা হঠাৎ এসে জানায়, তাকেও একই লোকের এই বাড়িতে গৃহসহায়িকা হিসেবে পাঠিয়েছে। আর সেই এই বাড়ির কাজের জন্য যোগ্য! এরপর শুরু হয় এক অদ্ভুত সুখ আর শান্তির দ্বৈরথ। তাদের মধ্যেকার ঠোকাঠুকি, বাড়ির সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে আর শুরু হয় সব হাস্যকর ভুল বোঝাবুঝি।
ব্যারি’র র্যাপ গান হয় হাসির খোরাক, আর বিধান পড়ে যায় কন্ডিশনারে মোছা মেঝেতে! কল্পনাতীত কাণ্ড ঘটতে থাকে, আর কল্যাণী ভাবেন-এই ‘সুখ’ আর ‘শান্তি’ই যদি ঝামেলার উৎস হয়, তাহলে এদের রেখে লাভ কী? শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একজন থাকবে, আর একজন যাবে। কিন্তু সুখ আর শান্তি কি এত সহজে বিদায় নেবে? একটি দুর্দান্ত হাসির পর্ব, যেখানে ‘সুখ’-এর খোঁজে বাড়ি হয়ে ওঠে ‘অশান্ত’। তা দেখতে হলে প্রতি শুক্রবার চোখ রাখতে হবে ক্লিকের পর্দায়।
‘বাড়ুজ্জ্যে ফ্যালিমি’তে 'সুখ'-এর ভূমিকায় দেখা যাবে জয়প্রকাশ পালকে। অন্যদিকে, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে শান্তির ভূমিকায়। তাঁরা ছাড়াও এই মেগা সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যায় রোহিত মুখোপাধ্যায়, সুদীপা বসু, দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জ্যাক, শ্বেতা তিওয়ারি, স্বর্ণ শেখর জোয়ার্দার, প্রেক্ষা সাহাকে। এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সুমাল্য ভট্টাচার্য। কাহিনী বিন্যাস ও চিত্রনাট্যে সঞ্জয় ভট্টাচার্য। মেগা সিরিজের সিনেমাটোগ্রাফি করেন সুব্রত মল্লিক। অন্যদিকে সম্পাদকের ভূমিকায় রয়েছেন কৌস্তভ সরকার। প্রযোজনা করেছে ফিল্মস অ্যান্ড ফ্রেমস।

এই মেগা সিরিজ প্রসঙ্গে পিঙ্কি বলেন, ‘ক্লিকের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় প্রজেক্ট।প্রথমটা ছিল ‘রূপকথার রেডিয়ো’ যেটা আজও রূপকথার মত লাগে। আর দ্বিতীয় হল ‘বাড়ুয্যে ফ্যামিলি।’ দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাই ? জয়েন বাড়ুয্যে ফ্যামিলি। জাস্ট ওয়ান অ্যান্ড অনলি ভাই। যদি একটুও করো মিস। জেনে রাখো মিস করছ বর্ষার ইলিশ। কখনও ভাপা, কখনও চাপা, বাড়ুয্যে ফ্যামিলি দেখতে ভুলিস নে রে ক্ষ্যাপা! যাকে ছাড়া সুখ দুঃখ পায়, আর যাকে সব শেষে খোঁজে সব্বাই! আমি হলাম দ্যা গ্রেট শান্তি, যাকে পেতে ভ্রান্তি, আর পেলে অশান্তি!’
অন্যদিকে মেগা সিরিজের পরিচালক বলেন, ‘খোস মেজাজের হাসির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রতি সপ্তাহে প্রস্তুত নতুন চমকদার কন্টেন্ট। এই ধারাবাহিকতা গত কয়েক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধরে রাখতে পেরেছি বলেই, দর্শকদের এত স্নেহ, ভালোবাসা পেয়েছি আমরা। আমরা আপ্লুত ও দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ । ধন্যবাদ জানাই আমাদের সৃজনশীল প্রযোজক শান্তনু চট্টোপাধ্যায় কে, তিনি এই অক্লান্ত পরিশ্রমে রোজ সামিল হয়ে সাহস জুগিয়ে চলেছেন, নিত্য নতুন আইডিয়াও দিচ্ছেন, লিখছেনও আমাদের লেখক সঞ্জয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে। আর আগাগোড়া যাঁরা আস্থা রেখেছেন পরিবারের গুরুজনের মত, নতুন ধারার মেগা সিরিজের দিগন্তকে আরও প্রসারিত করেছেন - ক্লিকের কর্ণধার অভয় ও নীরজ তাঁতিয়া । ফ্রেশ কন্টেন্ট মাথায় রেখে নিত্য নতুন ভালো চরিত্রাভিনেতা নিয়ে আসছি আমরা চিত্রনাট্যের গুনমান সমৃদ্ধ করে।’