পরেশ রাওয়ালকে খুব জলদিই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বায়োপিকে দেখা যাবে। মাঝে নানান জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল এই সিনেমাষ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের তরফে প্রথমে ছবিটিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি মুক্তির। পরবর্তীতে নির্মাতারা বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এবং আদালতের রায় অনুসারে কোনো কাট ছাড়াই এটিকে মুক্তির জন্য অনুতি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পরেশ রাওয়াল। ভারতে কি রাজনৈতিক সিনেমা বানানো কঠিন? জানতে চাওয়া হলে অভিনেতা জানান যে, ‘আমার তো এখন মনে হচ্ছে কোনো সিনেমাই তৈরি করা কঠিন।’
পরেশ রাওয়াল আরও বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যম আজকাল যে কোনো মানুষের প্রতিই যেন একপ্রকার মারমুখী হয়ে ওঠে। কিন্তু যদি আপনার উদ্দেশ্য খারাপ না হয়, নীতিগত ভুল না থাক, এবং সিনেমাটি সততা নিয়ে বানানো হয়, তাহলে কে কী বলল তা নিয়ে ভাবা উচিত নয়। আমার পক্ষে তো বোঝা সম্ভবই নয়, প্রতিটা মানুষ ঠিক কী চাইছেন। আমি শুধুমাত্র এমন কিছু তৈরি করতে পারি যা আমার পছন্দ, আপনি এইভাবে আপনার পছন্দগুলি সীমিত করেন। সিবিএফসি-ও সচেতন হয়ে ওঠে। ’
CBFC-এর আপত্তি সম্পর্কে ৭০ বছর বয়সী এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আদালত তাদের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেছিল, 'আপনি কি ছবিটি দেখেছেন বা এটির উপর ভিত্তি করে লেখা বইটি পড়েছেন? আপনার হোমওয়ার্ক করা উচিত ছিল!' তাঁরা তা করেনি। কেন জানি না, বুঝতে পারছি না কেন তাঁরা এমন করে।’
পরেশ রাওয়াল ২০০৮ সালে সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক 'সঞ্জু'তে অভিনয় করেছিলেন, যা একইভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। অভিনেতা উত্তর দেন, ‘মানুষটি এখনও জীবিত এবং এখনও কাজ করছে, তিনি তার কর্মজীবনের মাঝখানে আছেন। চলচ্চিত্রের গল্প যোগীজি রাজনীতিতে যোগদান করার আগ পর্যন্ত। এটি তাঁর সেই অজানা দিকের গল্প, যা জনসাধারণের কাছে আছে তাঁকে আপনি অজানা বলতে পারেন না। এখানে কিছুই বাড়িয়ে বলার জায়গা নেই। ’
আর সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোল সম্পর্কে পরেশ রাওয়ালের মতামত, ‘আমি ভয় পাওয়ার মানুষ নই, ট্রোলদের আমি ভালোভাবে উত্তর দিতেও জানি। তারা আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত যা ইচ্ছে লিখে দিতে পারে। যার কথা একসময় ঘরের লোকেরাও শুনত না, তাদের কথা নিয়ে যদি পৃথিবী আলোচনা করে, তাহলে তাদেরতা ভালো লাগে।’