বীরভূমে আগে তৃণমূল মানেই ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সিদ্ধান্তেই চলত জেলা সংগঠন। কিন্তু গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারি, দীর্ঘ কারাবাস এবং রাজনৈতিক প্রভাব কমে যাওয়ার পর ছবিটা বদলেছে। জেল থেকে মুক্তি পেলেও আজ আর আগের মতো একক প্রভাব নেই তাঁর। বর্তমানে তিনি জেলার কোর কমিটির আহ্বায়ক। অন্যদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকেও দেখা যায় সক্রিয় ভূমিকায়। দু’জনের মধ্যে মতভেদ ও অন্দরের টানাপোড়েন নিয়ে বারবার গুঞ্জন উঠেছে। এই অবস্থাতেই কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের তৃণমূল ভবন থেকে কড়া বার্তা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘সাংসদ পিছু ১৫-২০ কোটি…’, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিং নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল
সোমবার বীরভূম জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও। সেখানেই অভিষেক স্পষ্ট বার্তা দেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সামনে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট, আর লক্ষ্য বীরভূমের ১১টি আসনেই জয় নিশ্চিত করা। অভিষেক বৈঠকে কোর কমিটির প্রশংসা করেন এবং জানান, একক নেতৃত্ব নয়, সমবেত নেতৃত্বের উপরই দলের ভরসা। একাধিকবার তিনি কোর কমিটির নাম উল্লেখ করেন। এর মধ্যেই রামপুরহাট টাউন ব্লকের সভাপতির নাম ঠিক করতে না পারলেও, ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি, সিউড়ি ব্লক-২-এ নতুন সভাপতি বা বিকল্প হিসেবে তিন সদস্যের কোর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নেতৃত্ব।
বৈঠকের পর অনুব্রতের প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ সংবাদমাধ্যমে বলেন, বীরভূমে কোনও বিভাজন নেই। তৃণমূল এক পরিবার। পরিবারের মধ্যে মতবিরোধ হতে পারে, কিন্তু তা মেটানোর জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। ছাব্বিশের নির্বাচনে যাঁকে প্রার্থী করা হবে, তাকেই জেতানো হবে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, তিনি বেফাঁস মন্তব্য করি না। কেউ করলে তার জবাব তাকেই দিতে হবে। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল এ নিয়ে নীরবই থাকেন।