সন্তোষপুর স্টেশন চত্বরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে অন্তত ১২টি দোকান। এদিকে আগুনের জেরে বিঘ্নিত হয়েছে ট্রেন চলাচল। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। চারপাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। এদিকে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি এখনও। তবে মনে করা হচ্ছে, কোনও একটি দোকানের গ্যাস সিলেন্ডার থেকেই আগুন লেগেছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর দমকল এই নিয়ে তদন্ত করতে পারে। এদিকে স্টেশন লাগোয়া এলাকায় আগুন লাগায় প্রভাব পড়েছে বজবজ-শিয়ালদা লাইনে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্বাভাবিকের তুলনায় অল্প গতিতে চলছে ট্রেন। সকাল সকাল যাত্রীদের তাই নাজেহাল হতে হচ্ছে কিছুটা। উল্লেখ্য, এর আগেও সন্তোষপুর স্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় আগুন লেগেছিল। মার্চ মাসের সেই অগ্নিকাণ্ডে বহু ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছিল। সেবারও স্টেশনের একটি দোকান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সকালে সন্তোষপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি দোকানে প্রথম আগুন লেগেছিল। এরপর স্থানীয়রাই বালতিতে করে জল নিয়ে এগিয়ে যান আগুন নেভাতে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে সেই আগুন নিমিষে ছড়িয়ে পড়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মের বাকি দোকানগুলিতে। এদিকে স্টেশন চত্বর জুড়ে বেশ কিছু ঝুপড়ি আছে। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। এদিকে দাহ্য পদার্থ দিয়ে দোকান ও ঝুপড়িগুলো তৈরি হওয়ায় বেশির ভাগই জ্বলে গিয়েছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত মার্চ মাসে শিয়ালদা-বজবজ শাখার সন্তোষপুর স্টেশন লাগোয়া প্রায় ২০টি অবৈধ ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছিল অগ্নিকাণ্ডের জেরে। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া একটি বেআইনি দোকেনে প্রথমে আগুন লেগেছিল সেবার। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে শেষ পর্যন্ত। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বেশ কিছুক্ষণ শিয়ালদা-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ওই লাইন দিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল ফের শুরু হয়েছিল।