কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন বাম নেতা প্রসেনজিৎ বসু। গতকাল কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার কলকাতায় এসেছিলেন। মানিকতলার রামমোহন হলে কংগ্রেস অনুষ্ঠান করেছিল। সেখানেই কংগ্রেসের হাত ধেন প্রসেনজিৎ বসু। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ সৈয়দ নাসের হুসেন, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলার পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। সেখানেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন প্রসেনজিৎ বসু।
জানা যায়, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্র রাজনীতি করার সময়েই কানহাইয়ার সঙ্গে প্রসেনজিতের আলাপ। পরে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের সময় একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দু'জন। এদিকে অনুষ্ঠানে কানহাইয়া বলেন, 'বাংলাকে বদনাম করে বিজেপি রাজ্যে অনুপ্রবেশ করতে চাইছে। ওরা চাইছে দেশ বেচতে, কংগ্রেস চাইছে দেশ বাঁচাতে।' এদিকে গতকালকের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতারা তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারা বলেন, কংগ্রেস নাকি বাংলায় বিশেষ নজর দিয়েছেন।
প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের নেতৃত্বে সংগঠনের রূপান্তরের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা থেকে রাজ্য, প্রতিটি স্তরে কাঠামো শক্ত করতে তিনি সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। এই আবহে কেন্দ্রীয় নেতারা লাগাতার রাজ্য সফরে আসছেন। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আসেন কংগ্রেসের সাংগঠনিক শাখার সর্বভারতীয় সভাপতি কেসি বেণুগোপাল। তিনি বৈঠক করবেন প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গোলাম আহমেদ মীর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কংগ্রেসের ৩৩টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং বিভিন্ন শাখার নেতৃত্বকে নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের কৌশলগত রূপরেখা তৈরি করতেই এই সব বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এআইসিসির নির্দেশে প্রদেশ কংগ্রেস শুরু করেছে ‘মিডিয়া ট্যালেন্ট হান্ট’। ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় দক্ষ মুখপাত্র তৈরি করতে চাইছে দল।