অভিনেত্রী গওহর খান তাঁর ওজন কমানোর জার্নি সম্পর্কে কথা বলেছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে ছেলে জিহানের জন্ম দেওয়ার পর, তিনি মাত্র ১০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, কয়েক মাস পর তিনি 'ঝলক দিখলা জা ১১'-এর সেটে আবারও উপস্থাপনায় ফিরেও এসেছিলেন। এবার এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ডায়েট নিয়ে কথা বললেন নায়িকা।
আরও পড়ুন: এবার রাজনীতিবিদ সলমন খান! 'বিগ বস ১৯'-এর টিজারের সঙ্গে বড় ঘোষণা ‘ভাইজান’-এর
'দ্য দেবিনা ব্যানার্জী শো'-তে গওহর বলেন, ‘আমি জানতাম যে আমি আবার পর্দায় ফিরব। আমি আমার কাজকে হালকা ভাবে নিতে পারি না। আমি ছয় মাস ধরে আমার ছেলেকে স্তন্যদুগ্ধ পান করাই কিন্তু পুরোপুরি স্তন্যদুগ্ধ পান করাইনি, আমি কিছু ফর্মুলা ফিডিংও করেছিলাম। সেই সময়, আমি খাবার এবং পানীয়ের দিকে খুব বেশি মনোযোগ দিইনি কারণ আমার উপর সন্তানের দায়িত্ব ছিল। আমি স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছিলাম যাতে আমি প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিনের কথা মাথায় রেখেছিলাম।’
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরছেন শ্রুতি দাস! কোন চ্যানেলে আসছে অভিনেত্রীর নতুন ধারাবাহিক?
গওহর আরও বলেন, ‘ছয় মাস পর যখন আমিস্তন্যদুগ্ধ পান করানো বন্ধ করে দিই, তখন আমি স্যালাড ডায়েট শুরু করি। আমার খাবারের মধ্যে শাক এবং স্যুপেই সীমাবদ্ধ ছিলাম। আমি মুখে টেপ লাগিয়েছিলাম, আক্ষরিক অর্থেই। আমি ডায়েট করছিলাম না, শুধু স্যালাড এবং স্যুপের খাচ্ছিলাম। আমি আমিষ, মটনও ছেড়ে দিয়েছিলাম যা আমি খুব পছন্দ করি, কারণ এতে ক্যালোরি বেশি ছিল। আমাকে আবার কাজে ফিরে যেতে হয়েছিল তাই এটা প্রয়োজনীয় ছিল।’
গওহর খান এর আগে রেড এফএম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তার ওজন কমানোর জার্নি মানুষের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ট্রোল করা হচ্ছে। কিছু লোক মন্তব্য করেছিলেন, ‘আপনি কেন এত ওজন কমিয়েছেন এবং তা দেখাচ্ছেন? অন্য মহিলাদের কথা ভাবুন, আপনার প্রশিক্ষক আছে, প্রয়োজনীয় সহায়তা আছে তাঁদের তা নেই, তাঁদের কী হবে?’ কিন্তু আমার কোনও দামি প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদ নেই। আমি নিজের দেখেছি, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি। সঠিক তথ্য এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এটা সম্ভব।'