তৃণমূলের শহীদ দিবসের পরদিনই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ও দেবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন দেবকে নাকি রাজনীতি করতে বাধ্য করা হচ্ছেন। এবার দিলীপের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন দেব।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরছেন শ্রুতি দাস! কোন চ্যানেলে আসছে অভিনেত্রীর নতুন ধারাবাহিক?
কী বললেন দেব?
ঘাটালে বন্যা কারণেও দেবের বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল ঘাটালে। নায়কের সেই প্রসঙ্গে বলেছিলেন বিরোধীরা তাঁকে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করছেন। তাঁরাও চাইলে সাহায্য করতে পারতেন এখানকার মানুষদের। কিন্তু নায়কের মতে, দিলীপ তেমনটা নন। তিনি সোজাসাপটা কথাতেই বিশ্বাসী। আর সেটাই ভালো লাগে তাঁর।
দেব এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিলীপবাবু আমার অতন্ত্য প্রিয় একজন রাজনীতিবিদ। তিনি সামনে কথা বলতে ভালোবাসেন, পিছনে ছুরি মারেন না। আমার কাছে দিলীপ বাবুর আলাদা একটা সম্মান আছে। আসলে আক্রমণ না করলে রাজনীতি করা যায় না। আমার মনে হয় দিলীপবাবু এবার খড়গপুরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।খড়গপুরের জন্য প্রস্তুত হতে গেলে কাউকে তো একটা ঢিল মারতে হবে। আর আমি তো এখানে সব থেকে বেশি সফট টার্গেট। কিছু না হলেও দেবকে আক্রমণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা নন মধুবনী, সবটাই নতুন ব্যবসার জন্য! 'নোংরা মানসিকতা…', ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নেটিনেজেনরা
প্রসঙ্গত, একটি সাক্ষাৎকারে দিলীপকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘দেব প্রতিবার নির্বাচনের আগে বলেন, ‘এবার যদি ঘাটাল সমস্যার সমাধান না করি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’। আবার ভোটে দাঁড়ান। আবার ওখানকার মানুষজন তাঁকে ভোট দেন। মেদিনীপুরের ছেলে, ভালো ছেলে। কিন্তু এরকম অকর্মণ্য ভালো ছেলে কী হবে? ছেলে কোনও কাজে নেই।’
এরপরই দিলীপ জানান একপ্রকার চাপের মুখে পড়েই নাকি দেব বাধ্য হচ্ছেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে। বিজেপি নেতার কথায়, ‘কার চাপে সে রাজনীতি করছে? কেন বার বার ভোটে দাঁড়িয়ে ঘাটালের লোকজনকে ধোঁকা দিচ্ছে? ঘাটালের মানুষজন এটুকু দাবি করতে পারেন না যে, 'তুমি আমার বাড়ির ছেলে, আমরা বাড়ি থেকে বের হলে কোমর জলে হাঁটতে হয়। ওই জলেই বাচ্চাদের স্কুলে যেতে হয়। ছ'মাস জলে থাকতে হয়।' ওঁর কোনও কাজ নেই। দম থাকলে রিজাইন করে দেখান। মেদিনীপুরের লোকের মেরুদন্ড থাকে, তাঁরা চামচাগিরি করে না। মেদিনীপুরের লোকেরা এরকম হতে পারে না। ব্ল্যাকমেল করে রাজনীতি করানো হচ্ছে। তাঁকে গরু পাচারের জন্য যে ডাকা হয়েছিল, সেখানে তৃণমূলের লোকেরাই তাঁর বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করেছিল। প্রত্যেকবার তাঁকে বলা হয়, তুমি যদি ভোটে না দাঁড়াও তাহলে তোমার সিনেমা বন্ধ করে দেব। প্রোডাকাশন হাউজ বন্ধ কররে দেব। ফলে সে বাধ্য হয়ে করছে। মেদিনীপুরের লোক একবার মুড়ি খেয়ে, পান্তা খেয়ে বেঁচে থাকে, মাথা নীচু করে না।'