ঢাকে কাটি পড়ে গিয়েছে। পুজোর বাকি আর মাত্র মাসখানেক। পুজো মানেই যেমন ঠাকুর দেখা, ভোগ খাওয়া, তেমনই পুজো মানেই শপিং। আর পুজোর বহু আগে থেকেই বেশির ভাগ বাঙালি কেনাকাটা শুরু করে দেন। ব্যতিক্রমী নন ছোট পর্দার 'জোনাকি' পারিজাত চৌধুরীও। এবার পুজোয় পারিজাতের কী প্ল্যান? কেনাকাটা কি শুরু হয়েছে? ছোটবেলার পুজো কেমন কাটত নায়িকার? ধর্মতলায় কলকাতা ট্রেন্ডস-এর নতুন শোরুম এসে সবটা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় ধরা দিলেন অভিনেত্রী।
এখানে তো অনেক কালেকশন কিছু মনে ধরল? পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে?
পারিজাত: হ্যাঁ, এখানে সব কালেশনেই ভীষণ ভালো। তবে কেনাকাটা তো সারা বছর চলে। আসলে সারা বছর জুড়েই আমি কিছু না কিছু কিনতে থাকি। সেটা অনলাইন হোক বা কোনও দোকানে গিয়ে কেনা, আসলে কেনাকাটা করতে আমার খুব ভালো লাগে।
দোকানে গিয়ে জামা কাপড় দেখে কেনা নাকি অনলাইনে কোনটা আপনি বেশি পছন্দ করেন?
পারিজাত: অনলাইনের তুলনায় আমি দোকানে গিয়ে দেখে শুনে জামা কাপড় কিনতেই বেশি পছন্দ করি। কিন্তু কাজের চাপ এতটাই থাকে যে, দোকানে গিয়ে এখন সব সময় কেনাকাটা করতে পারি না, তাই অনলাইনাটাই ভরসা। কিন্তু ট্রায়াল রুমে গিয়ে ট্রায়াল করে জামাকাপড় কিনতে কার না ভালো লাগে। ছোটবেলায় পুজোর আগে বাবা-মা-দাদা সবার হাত ধরে শপিং করতে যেতাম।
ইন্ডিয়ান নাকি ওয়েস্টার্ন পুজোয় কোন ধরনের পোশাক আপনি বেশি পছন্দ করেন?
পারিজাত: অবশ্যই ইন্ডিয়ান আরও ভালো করে বলতে গেলে শাড়ি। পুজোর পাঁচটা দিনে পাঁচটা শাড়ি, সেটা ১০ টাও হতে পারে। সকালে একটা বিকেলে একটা।
আর ছোটোবেলার কথা বললেন, সেই সময় কেমন কাটত পুজো?
পারিজাত: (আনন্দিত হয়ে) ছোটোবেলার পুজোটা খুব অন্যরকম কাটত, খুব ভালো কাটত সময়টা। ছোটোবেলায় শ্রীরামপুরে ঘুরতাম। একটা দিন কলকাতায় এসে প্যান্ডেল প্যান্ডলে ঘুরে ঠাকুর দেখতাম। ওই একটা দিন কলকাতায় আসতেই হবে। না হলে মনে হয়তো পুজোটা অসম্পূর্ণ। সেই সময় এত প্যান্ডেল হপিং করতাম যে পা ব্যাথা হয়ে যেত। তারপর কান্নাকাটি করে কোলে কোলে বাড়ি ফিরতাম। সব মিলিয়ে প্রচন্ড আনন্দ করতাম।
আর এখন, এবার পুজোর প্ল্যান কী?
পারিজাত: কলকাতাতেই থাকব এবার পুজোয়। কারণ কলকাতায় পুজোর আলাদা একটা ব্যাপার রয়েছে, আলাদা একটা ইমোশান। সেই ভিড়, সেই হুল্লোড়, রাত জেগে প্যান্ডেল হপিং করা। ওগুলোর মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে। সারা বছর আমরা কলকাতার পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি। তাই পুজোতে কলকাতাতেই থাকব আনন্দ করব, খাওয়া-দাওয়া করব, সিনেমা দেখব হলে গিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে গান বাজনা করব, মাসিদের সঙ্গে বাড়িতে আড্ডা দেব।
খাওয়া-দাওয়া! নায়িকারা তো খুব ডায়েট মেনে খান...
পারিজাত: (উত্তেজিত হয়ে) পুজোর ক'দিন সে সব চলে না। বছরের এই পাঁচটা দিনের জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। তাই এই ক'দিন তো প্রচন্ড খাওয়া দাওয়া হয়। মটন, চিকেন, মাছ কিছু বাদ যায় না। বিরিয়ানি, পোলাও সব খাই। আর এই পাঁচটা দিনও যদি কেউ ডায়েট করেন, তাহলে আমি তাঁর সঙ্গে কথাই বন্ধ করে দেব।
পুজোর সঙ্গে পুজো প্রেমের একটা যোগ রয়েছে, আপনি কখনও পুজোয় প্রেমে পড়েছেন?
পারিজাত: (হতাশ হয়ে) না এখনও সেই সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে আমি অনেকের কাছেই শুনেছি যে পুজোয় ঠাকুর দেখতে গিয়ে হয়তো কারুর সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছে। তারপর তাঁরা এতই প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে যে, শেষে তাঁরা বিয়েও করে ফেলেছেন। কিন্তু আমি পুজো প্রেমটা এখনও উপভোগ করিনি। কারণ আমি তো এখনও বাবা মায়ের সঙ্গে হাত ধরে ধরেই প্যান্ডেলে যাই। আর এত বছরে যখন হয়নি, এবারও হবে বলে মনে হয় না।