এই মুহূর্তে ‘বেলা ’ছবির প্রচার নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। আগামী ২৯ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাবে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের এক স্বাধীনচেতা নারীর গল্প ‘বেলা’। এমনই বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন ভাস্বর, যেখানে কখনও ভালো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তেমনি হতে হয়েছে মজার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন। তেমনি একটি মজাদার গল্প সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন অভিনেতা।
আর কিছুদিন পরেই মহালয়া। মহালয়ার প্রাক্কালে মহালয়া নিয়ে একটি মজাদার গল্প শেয়ার করলেন ভাস্বর। সমাজ মাধ্যমের পাতায় তিনি জানালেন, একটি মহালয়ার শ্যুট করতে গিয়ে কেমন হাস্যকর পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
ভাস্বর লেখেন, ‘অভিনয় জীবনে কত রকম ঘটনার সাক্ষী হই প্রতিদিন, তা নিয়ে একটা মোটা বই হয়ে যেতে পারে। কদিন আগে একটা শুট করেছিলাম অবাঙালি এক পরিচালকের সঙ্গে। মহালয়া রিলেটেড সিকুয়েন্স শ্যুট চলছিল। উনি বললেন এখানে আপনারা সবাই চা ঝালমুড়ি খাবেন।’
অভিনেতা লেখেন, ‘পরিচালকের মুখে এই কথা শুনে আমরা বললাম, এরকম হয় না। তখন উনি বললেন তাহলে চা সিঙারা? আবার আমরা বললাম দেখুন ভোর চারটের সময় কেউ এসব খায় না। অনেকে বিছানাতে শুয়েই শুনে না হলে বড় জোর চা খেতে খেতে।’
ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়ের কথা একেবারেই পছন্দ হয় না পরিচালকের। এরপর ভাস্বর জানতে চান, রেডিওতে মহালয়া শুনছি এতে আটকাচ্ছে কোথায়? উনি বললেন, ‘জমছে না। আমাদের সবাইকে কিছু একটা করতে হবে। এক কাজ করুন, মহালয়ার গানের সঙ্গে সপরিবারে নাচুন।’
‘পরিচালকের এই কথা শুনে রীতিমত চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল সকলের। বললাম মহালয়ার গানের সঙ্গে নাচলে আমাদের মেরে পৃথিবী ছাড়া করে দেবে জনগণ। হতাশ হয়ে ক্ষান্ত দিলেন ভদ্রলোক।’ পরিচালকের নাম না উচ্চারণ করলেও এই মজার গল্পটি শুনে হেসে খুন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়ের এই পোষ্টে অনেকেই কমেন্ট করে লিখেছেন, এখন আর আগের মতো মহালয়া শোনা হয় না। টিভিতে যে সমস্ত মহালয়া চলে, সেগুলি তেমন বোধগম্য হয় না বা পছন্দমতো হয় না। সব মিলিয়ে মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর না শুনলে দিনটা একেবারেই থাকে অসম্পূর্ণ।