উত্তরপ্রদেশে হাড়হিম করা ঘটনা। তান্ত্রিকের পরামর্শে ১৭ বছরের নাতিকে খুন করার পর তার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।অভিযুক্তের নাম শরন সিং। তাকে কারেলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে ফিরছেন হাসিনা! নির্বাচনের আগেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিএনপি
এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ অভিষেক ভারতী বলেন, অভিযুক্ত শরন সিং নিহত কিশোরের দাদুর ভাই। তিনি জানান, ' বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরার সময় শরন তার নাতি পিয়ুশকে খুনের কথা স্বীকার করেছে এবং তার উদ্দেশ্যও জানিয়েছে।' ডিসিপি জানান, শরন সিংয়ের ছেলে এবং মেয়ে যথাক্রমে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে আত্মহত্যা করেছিল। শোকে কাতর হয়ে শরন একজন তান্ত্রিকের কাছে যান এবং তার সন্তানদের মৃত্যুর কারণ জানতে চান। তান্ত্রিক তাকে বলেছিল যে পিয়ুশের মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার মৃত্যু না হওয়ায় শরনের নিজের সন্তানরা তার পরিবর্তে মারা গেছে। এরপর তান্ত্রিক শরনকে পিয়ুশকে হত্যা করার পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে ফিরছেন হাসিনা! নির্বাচনের আগেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিএনপি
মঙ্গলবার থেকেই সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরের একাদশ শ্রেণির ছাত্র পিয়ুশ নিখোঁজ ছিল। সে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিন্তু আর ফিরে আসেনি। চিন্তিত হয়ে তার মা কামিনী দেবী স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন যে পিয়ুশ সেদিন স্কুলেই আসেনি। এরপর তিনি কারেলি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।তদন্তে নেমেই মঙ্গলবার তারা নৈনি শিল্প এলাকার নর্দমা থেকে একটি ধড় উদ্ধার করে পুলিশ। তবে মাথা না থাকায় তখন দেহটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এরপর বুধবার কারেলির সাইদপুর কাছার এলাকা থেকে পিয়ুশের মাথা খুঁজে পাওয়া যায় এবং যার ফলে দেহটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পুলিশের তদন্তের মধ্যে স্থানীয় এক মহিলা জানান, তিনি একজন ব্যক্তিকে একটি স্কুটারে করে কিছু একটা নর্দমায় ফেলতে দেখেছিলেন। তার বর্ণনা শরনের চেহারার সঙ্গে হুবহু মিলে যাওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে শরন ওই কিশোরকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। এরপর সে তার দেহ টুকরো করে এবং পিয়ুশের ধড় একটি শাড়িতে মুড়ে স্কুটারে করে কুড়িয়া লওয়ান গ্রামের কাছে নর্দমায় ফেলে দিয়েছিল।ডিসিপি বলেন, বর্তমানে শরণ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে, এবং তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।