আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে নালন্দা জেলায় নীতীশ কুমার সরকারের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রবণ কুমার এবং স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণ মুরারি ওরফে প্রেম মুখিয়ার উপর গ্রামবাসীদের হামলার ঘটনার শোরগোল পড়ে গিয়েছে।আর এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মন্ত্রী শ্রবণ কুমারের দেহরক্ষী।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে ফিরছেন হাসিনা! নির্বাচনের আগেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিএনপি
ঘটনাটি হিলসা থানা এলাকার মালাওয়ান গ্রামে ঘটেছে। জানা গিয়েছে, গত ২৩ আগস্ট পাটনার শাহজাহানপুর থানা এলাকায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নালন্দার হিলসার মালাওয়ান গ্রামের ৯ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার সকালে মন্ত্রী শ্রবণ কুমার এবং বিধায়ক কৃষ্ণ মুরারি মালাওয়ান গ্রামে পৌঁছান।কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মন্ত্রী এবং বিধায়ক দুর্ঘটনার চার দিন পরে এসেছেন এবং তাঁদের সমস্যা শোনার পরিবর্তে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নিজের জেলা নালন্দায় সড়ক নিরাপত্তা এবং পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছিলেন। মন্ত্রীর পৌঁছানোর কয়েক মিনিট পরেই ক্ষুব্ধ একদল গ্রামবাসী তাঁদের ঘিরে ফেলে। একই সঙ্গে গ্রামবাসীরা লাঠি-সোঁটা নিয়ে তাঁদের কনভয়ের উপর হামলা চালায়। প্রায় এক কিলোমিটার ধরে মন্ত্রী এবং বিধায়কের কনভয়ের পিছু নেওয়া হয়, এবং এই হামলায় একজন দেহরক্ষী আহত হন। তাঁকে হিলসা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোনভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে মন্ত্রী ও বিধায়ক ঘটনাস্থল থেকে পালান। পরে হিলসা ডিএসপি-সহ ভারী পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে ফিরছেন হাসিনা! নির্বাচনের আগেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিএনপি
এই ঘটনায় অনেক নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। তবে বিষয়টি জানা মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। বর্তমানে গ্রামে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রী শ্রবণ কুমার বলেন, 'দিন দুয়েক আগে জীবিকা দিদিরা (ব্যাঙ্ক জীবিকা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলারা) একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এই ঘটনার পর আমি সেখানে পৌঁছেছিলাম। আমি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সাহায্য নিশ্চিত করছিলাম। আমি তাদের দুঃখ ভাগাভাগি করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু লোক এতে ক্ষুব্ধ হয়, আমি এটি সম্পর্কে জানি না।' মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়েই এমনটা হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এখনও পর্যন্ত যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সাহায্য দেওয়া হয়নি সরকারের তরফ থেকে। অথচ সহানুভুতি দেখানো হচ্ছে। সেই কারণেই মন্ত্রীর উপর হামলা চালানো হয়েছে।