সত্তরোর্ধ রজনীকান্তের সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি কুলি বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ৫০০ কোটির গণ্ডি হেলায় পার করেছে। ৫০০ কোটির ক্লাবে এই দক্ষিণী তারকার তিনটি ছবি রয়েছে। থালাইভার বাইরে আর মাত্র পাঁচজন ভারতীয় অভিনেতা এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তবে কোনও খান কিংবা রণবীর কাপুর বা বচ্চন কেউই বক্স অফিসের আধিপত্যের এই তালিকার শীর্ষে নেই। সবচেয়ে বেশি ৫০০ কোটির বক্স অফিস হিট দেওয়া ছবির মালিক অন্য কেউ। রজনীকান্তের তিনটি (২.০, জেলার এবং কুলি) ৫০০ কোটি বা তার বেশি টাকা কামাই করা ছবি রয়েছে। সর্বাধিক ৫০০ কোটি টাকার হিট ছবির তালিকায় তিনটে ছবির সঙ্গে সলমন খান এবং আমির খানের পাশাপাশি তালিকার যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা পাকা করলেন রজনীকান্ত।
তবে তেলুগু তারকা প্রভাস এই তালিকায় রাজত্ব করছেন। এসএস রাজামৌলির 'বাহুবলী: দ্য বিগিনিং' (৬৫০ কোটি টাকা) দিয়ে প্রথম ৫০০ কোটির ক্লাবে পা রাখার পর থেকে প্রভাস আরও তিনবার মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন-: বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন (১৭৮৮ কোটি), সালার (৬১৭ কোটি) এবং কল্কি ২৮৯৮ এডি (১০৪২ কোটি)। প্রভাস দুটি ছবি যার মধ্যে ১০০০ কোটির গণ্ডি পার করেছে। প্রসঙ্গত, প্রভাসের বাইরে শাহরুখ খান একমাত্র অভিনেতা যার দখলে ১০০০ কোটির দুটি ছবি (পাঠান ও জওয়ান) রয়েছে। তবে ৫০০ কোটির তালিকায় শাহরুখের অবস্থান সলমন-আমিরদের চেয়ে পিছনে।

শাহরুখের জওয়ান (১১৬০ কোটি) এবং পাঠান (১০৫৫ কোটি) এই দুটি ৫০০+ কোটি টাকার চলচ্চিত্র, যা তাকে রণবীর কাপুর এবং রানা দাগ্গুবাতির পাশাপাশি তালিকার যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে রেখেছে। আল্লু অর্জুন, রাম চরণ, জুনিয়র এনটিআর, যশ, অমিতাভ বচ্চন, রাজকুমার রাও, ভিকি কৌশল, সানি দেওল, বিজয় এবং অভিষেক বচ্চনের মতো তারকাদের একটি ছবি রয়েছে ৫০০ কোটির ক্লাবে।
ফিল্মি পরিবারের ছেলে প্রভাস, অভিনয়ের জন্যই যেন জন্ম তাঁর। বাহুবলী তারকার বাবা উপ্পলাপতি সূর্য নারায়ণ রাজু ছিলেন তেলুগু ছবির নামী প্রযোজক এবং তাঁর কাকা কৃষ্ণম রাজু সত্তরের দশকের একজন শীর্ষস্থানীয় তেলুগু তারকা। ২০০২ সালে অভিনয়ের জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন প্রভাস এবং দু'বছর পরে বর্ষমের মাধ্যমে সাফল্যের মুখ দেখেন। ছত্রপতি, ডার্লিং এবং বিল্লার মতো হিট ছবি দেওয়ার পরে, তিনি তাঁর প্রজন্মের অন্যতম ওয়ান্টেড তেলুগু তারকা হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে এসএস রাজামৌলির 'বাহুবলী: দ্য বিগিনিং'-এর সাফল্য তাঁকে প্যান-ইন্ডিয়া তারকা করে তোলে। এরপর তিনি 'বাহুবলী ২' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা তৎকালীন সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় চলচ্চিত্র।

সাহো, রাধে শ্যাম এবং আদিপুরুষের পরবর্তী কয়েকটি ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ায় প্রভাসের কেরিয়ারে মন্দা দেখা যায়। তবে ২০২৩ সালে প্রশান্ত নীলের 'সালার পার্ট ১' দিয়ে দারুণ কামব্যাক করেন তিনি। তাঁর পরবর্তী চলচ্চিত্র, কল্কি ২৮৯৮ সেভাবে সমালোচকদের মন জয় করেনি। তবে ১০০০ কোটি টাকার বেশি আয় করে এই ছবি। এখন পর্যন্ত অষ্টম সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় চলচ্চিত্র কল্কি ২৮৯৮। অভিনেতাকে আগামিতে হরর কমেডি দ্য রাজাসাব-এ দেখা যাবে। পাশাপাশি সালার পার্ট ২- নিয়েও উপস্থিত হবেন প্রভাস।