আমাদের গেছে যে দিন একেবারেই কি গেছে, কিছুই কি নেই বাকি? নাকি নেহাত সৌজন্য? একটা সময় টেলিপাড়ার ‘স্মার্ট জোড়ি’ ছিলেন জীতু-নবনীতা। ভালোবেসে পরস্পরের হাত ধরেছিলেন। পর্দার প্রেম গড়িয়েছিল বাস্তবে, এরপর দুজনে সংসার পাতেন। ২০১৯ সালে ৬ মে অগ্নিসাক্ষী রেখে বিয়ে করেছিলেন জীতু কমল ও নবনীতা দাস। যদিও ২০২৩ সালের নভেম্বরে সেই বিয়ের পরিসমাপ্তি হয় ডিভোর্সে।
এরপর কেটেছে প্রায় দু-বছর। আপতত টেলিভিশনে ফিরেছেন জীতু। জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর আর্য স্যার আট থেকে আশির ফেভারিট। জীতুর জন্মদিনে পাশে নেই নবনীতা কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের কথা জানালেন। প্রাক্তন স্বামীকে শুভেচ্ছা জানাতে কুণ্ঠাবোধ করেননি অভিনেত্রী। এদিন ৩৫-এ পা দিলেন জিতু।
২৮শে অগস্ট ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ঘটা করে প্রাক্তন স্বামীর ছবি পোস্ট করে নবনীতা লিখলেন, ‘শুভ জন্মদিন’। অদেখা ছবিতে দেখা যাচ্ছে জীতুর পরনে সাদা-কালো স্ট্রাইপ শার্ট, ধূসর ট্রাউজার্স। নায়ক চোখ ঢেকেছেন কালো চশমায়। মাথায় টুপি। মুখে হাসি। জীতুর সব ছবি আজও কি মুঠোফোনে আগলে রেখেছেন নবনীতা? আজ এইটুকুই কি বলার ছিল না অনেক কথা বললেন না? জীতু-নবনীতা জুটির ভক্তদের জিয়া নস্টাল এই পোস্ট ঘিরে। এখনও এই পোস্টের পালটা জবাব দেননি জীতু।

চলতি মাসের গোড়ায় চিরদিনই তুমি যে আমার-এর নায়িকা দিতিপ্রিয়া রায় একরাশ অভিযোগ এনেছিলেন জীতুর বিরুদ্ধে, তখনও প্রাক্তনের পাশে দাড়িয়েছিলেন নবনীতা। জানিয়েছিলেন, জীতুর প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমি ওকে নিপাট ভাল মানুষ বলেই চিনি। আমাদের সম্পর্ক থাকাকালীনও ও এরকম কিছু করেনি, যার জন্য ওর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। তাই ওর নামে এরকম অভিযোগ শুনে অবাকই হচ্ছি।’ 'বাচ্চা বউ' নবনীতাকে আগলে রাখতেন জীতু। সেই আগল একসময় আলগা হয়ে যায়। ডিভোর্স জল্পনার সময় দুজনের পরকীয়া নিয়ে কম রটনা শোনা যায়নি, তবে প্রকাশ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। টেলিভিশন থেকে আপতত দূরে রয়েছেন নবনীতা। আপতত মি-টাইম এনজয় করছেন জীতুর প্রাক্তন।