এই মুহূর্তে গোটা ভারতবর্ষের মানুষ মেতে উঠেছেন গণেশ পুজোর আনন্দে। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি, সকলের বাড়িতেই এই মুহূর্তে চলছে গণেশ পুজো। গণেশ পুজোর এই পবিত্র সময়ে জীবনের কোন ভুলের কথা স্মরণ করলেন অন্বেষা?
অন্বেষা হাজরা, ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। যদিও এর আগে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিককে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন অভিনেত্রী। অন্যান্যদের মতো অন্বেষাও গণেশ পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
তবে এই আনন্দের মাঝেই ছোটবেলার একটি অভিজ্ঞতার কথা বারবার স্মরণ করলেন তিনি। সমাজ মাধ্যমের পাতায় গনেশ আরতির একটি সুন্দর ছবি পোস্ট করে ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করলেন অন্বেষা। ধন্যবাদ দিলেন নীলাঞ্জনা শর্মাকে।
নীলাঞ্জনা শর্মা অর্থাৎ যীশু সেনগুপ্তের স্ত্রীর বাড়িতে গণেশ পুজোয় আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন অন্বেষা। সেখানেই জীবনের প্রথম আরতি করলেন তিনি। আরতি করতে করতেই ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। বারবার তাঁর মনে পড়ে যায়, ছোটবেলায় করা একটি মস্ত বড় ভুলের কথা।
অন্বেষা লেখেন, ‘আমার প্রথম গণেশ আরতি। আমি তখন ক্লাস ফোরে পড়ি গণেশ ঠাকুরের ওপর রেগে গিয়ে ওনার ছবিটা কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেলেছিলাম। তখন বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরে বুঝেছিলাম যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে আমার গণেশ ঠাকুরের সামনে দাঁড়াতে খুব লজ্জা লাগে।’
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
অন্বেষা আরও লেখেন, ‘তখন আমার ৯ বছর বয়স ছিল এখন ২৯। আমি জীবনের প্রথম গণেশ আরতি করলাম। থ্যাংক ইউ নীলাঞ্জনা ম্যাম। আপনি না থাকলে, আপনি না ডাকলে এই সুযোগ আমি পেতাম না। ম্যামের বাড়ির পুজো।’
জীবনে অনেক ছোটখাটো ভুল করে বসেন মানুষ, যার কথা পরবর্তীকালে মনে পড়লে কষ্টই হয়। যদিও ছোটবেলায় এমন অনেক ভুল করে থাকে প্রায় সকলেই, তবে এই বছর গণেশ আরতির মাধ্যমে অভিনেত্রী সেই ভুলের ক্ষমা চেয়ে নিলেন স্বয়ং গনেশ দাদাদের কাছ থেকে।