Porimoni: গর্ভের সন্তান আসার পর শুধুই দূর-ছাই করেছেন একসময়ের আদরের পুটুকে, আজ সেই ভুলেরই…: পরীমনি

ভুল করেছেন, আর সেই ভুলেরই খেসারত দিয়ে চলেছেন, এমনই কথা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের পরীমনি। একসময় ছোট্ট পুটুকে আদরে ভরিয়ে দিতেন পরীমনি। নিজের গর্ভের সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আগে পর্যন্ত এই অভিনেত্রীর গা ঘেঁষে থাকত এই পুটু, 'পরী'র কোলেই ঘুমাত সে। তবে ছেলে পদ্মের জন্মের পর থেকেই পুটুকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন পরীমনি। আর এবার তারই খেসারত দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী। এখন মায়ের দেখাদেখি পুটুর সঙ্গে যখন ছেলে পদ্মও খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করল, তখন গিয়ে টনক নড়ল পরীমনির।তবে এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন পরীমনি। আর এখন সেই মন খারাপের কথা, ভুল বুঝতে পারার কথাই ফেসবুকের পাতায় তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। সঙ্গে পোস্ট করেছেন ছেলে পদ্মর একটা ভিডিয়ো।ঠিক কী লিখেছেন পরীমনি?ভুল স্বীকার করে খোলা চিঠিতে পরীমনি লিখেছেন, ‘একটা ভুল করেছি আমি। আমার এই পেট (পোষ্য) এর নাম পুটু। অনেকেই দেখে থাকবেন হয়তো। পুটু আমার সাথে আছে ১০ বছর ধরে ! আমার ছেলে হবার আগে ও সবসময় আমার সাথে ঘেঁষে থাকতো। আমার কোলের মধ্যে ঘুমাতো। আমার ছেলে আসার পর থেকে পুটুকে সাথে নিয়ে ঘুমাই না। তখন থেকে ওর আলাদা বিছানা হয়ে গেলো। প্রথম দিকে খুব কষ্ট হচ্ছিল মানিয়ে নিতে। তারপর আস্তে আস্তে একটা সময় মানিয়ে নিলো। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব হয়ে গেলো। তারপর যখন আমর ছেলে হাঁটা শুরু করলো তখন ফ্লোরে ছেলের সাথে পুটু ও দৌড়ে ওর কাছে আসতে চাইতো । আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম পুটু যদি কামড় দিয়ে দেয় বা ওর ডাকে ছেলে যদি ভয় পায়। সেই ভেবে পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম। ইদানীং হটাৎই আমি খেয়াল করলাম ছেলেও পুটুর সাথে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে এই পুটু যাও যাও।’আরও পড়ুন-‘রণবীরের শয্যাসঙ্গী… অ্যানিম্যাল মুক্তির পর ২-৩দিন ধরে শুধুই কেঁদেছি’, কেন বললেন তৃপ্তি দিমরিআরও পড়ুন-'এত্তটা নির্লজ্জ, অসংবেদনশীল, ছিঃ', পুজো মণ্ডপে ঢাকের তালে সেকী নাচ! ট্রোলড তনুশ্রী, সুস্মিতারা আরও পড়ুন-'মনে মনে কাউকে ভালোবাসো? নাকি…', বাবার সামনেই অমিতাভের প্রশ্নে অপ্রস্তুত জুনেইদ, ছেলের উত্তরে অবাক আমিরওনিজের ভুল বুঝতে পেরে পরীমনি লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পারলাম এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে তাই তো শিখবে! এরপর আমি লেগে পড়লাম ওদের সুন্দর একটা বন্ধুত্ব তৈরি করবার। ছেলের সামনে পুটুকে খাওয়ানো, গোসল করানো, আদর করা, কথা বলা, একসাথে ছেলেকে নিয়ে খেলা… আস্তে আস্তে ছেলে অনেকটা স্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করল পুটুর সাথে। আমার ভালো লাগলো। কিন্তু আরো একটা বড় ভুল হয়ে গেল যেটা আমাকে অনেক গিল্টিতে (অনুশোচনা) ফেলে দিলো। ছেলে সব খেলনা ছেড়ে এখন যখন খুব করে পুটুর সাথে থাকতে চায়, পুটুর সাথেই খেলতে চায় তখন দেখলাম পুটুর ভয়টা এখনো কাটে নি! আমি চেষ্টা করছি.. হয়তো ওর ভয় কাটিয়ে উঠবে। আমার মতন এই ভুল কেউ করবেন না আশাকরি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেলো আমার….’