সময়টা একদম ভালো যাচ্ছে না অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের। একের পর পর এক কাছের মানুষের মৃত্য়ুশোকে বিধ্বস্ত অভিনেতা। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রয়াত হন সাহেবের বোন। সেই ঘটনার ক্ষত আজও দগদগে। ৯ মাস যেতে না যেতেই ফের কাছের মানুষকে হারালেন অভিনেতা। এবার চলে গেলেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃসম দিদি।
দিদির মৃত্যুর খবর সোশ্য়াল মিডিয়ায় ফ্য়ানেদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সাহেব। তিনি লেখেন, ‘গতকাল সকালে দিদিকে হারিয়ে ফেললাম। যেখানেই থাকুক, ভাল থাকুক, সকলে এই প্রার্থনা করুন… ওম সাঁই রাম।’ প্রয়াত সহোদরার বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন, সেখানে দেখা গিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে মায়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাঁর দিদি। নতুন বর-কনেকে বরণ করে নেওয়ার সময় তাঁর নাকে গোঁজা ছিল অক্সিজেনের নল। ৯ মাসের ব্যাবধানে বোন ও দিদিকে হারিয়ে শোকে কাতর সাহেব।
ফোনে অধরা অভিনেতা। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লি থেকে কলকাতায় মেয়ের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন সাহেবের বোন পিয়াসী চট্টোপাধ্যায়। কলকাতায় এসে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তিনি। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বোনের জন্য রক্ত চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন অভিনেতা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। মাত্র ৪০ বছর বয়সে জীবনযুদ্ধে ইতি টেনে না-ফেরার দেশে পাড়ি দেন সাহেবের বোন।
সেই সময় সাহেব জানিয়েছিলেন, কিছু বুঝে ওঠবার আগেই প্রয়াত হয়েছে বোন। সম্পর্কে সাহেবের মাসির মেয়ে পিয়াসী। তবে মাসির মৃত্যুর পর সাহেবের বাড়িতেই মানুষ। পিয়াসীর যখন মৃত্যু হয়, তাঁর মেয়ের বয়স সবে দু-মাস। মাত্র ৪০ বছর বয়সে মাল্টিঅরগ্যান ফেলিয়োর হয় তাঁর।
সাহেবকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছে হইচই-এর বিজয়া ওয়েব সিরিজে। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত এই ওয়েব সিরিজে খল নায়কের ভূমিকায় রয়েছেন সাহেব।