সরকারি বনাম বেসরকারি। কিছুদিন আগেই যখন ২০১৬ এর গোটা এসএসসি প্যানেল বাতিল হল তখন অনেকেই চাকরিহারা শিক্ষকদের হয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন বেসরকারি জায়গায় যাঁরা কর্মরত তাঁরা তো অনেক সময়ই এই ছাঁটাইয়ের সাক্ষী থেকেছেন। তার বেলা? প্রশ্ন উঠেছে তখন প্রতিবাদ কোথায় থাকে? এই বিষয়ে সরকারি এবং বেসরকারি চাকুরেদের কী মত খোঁজ নিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
আরও পড়ুন: নিজের জন্মদিনেই মেয়ের সঙ্গে আলাপ করালেন রাহুল! একরত্তির কী নাম রাখলেন আথিয়ারা?
আরও পড়ুন: রবি ঠাকুরের গানে নেচে বর্ষবরণ শুভশ্রী-কৌশানির! ড্যান্স বাংলা ড্যান্সে থাকছে আর কোন চমক?
কী বলছেন সরকারি এবং বেসরকারি চাকুরেরা?
এই বিষয়ে নিয়ে মত জানতে চাওয়ায় টিসিএসে কর্মরত সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় (নাম পরিবর্তিত) জানিয়েছেন, 'এটা ঠিকই বেসরকারি জায়গায় চাকরি যায়। কিন্তু একই সঙ্গে সেখানে আগে থেকে, অন্তত মাস দুই তিন আগে জানিয়ে দেওয়াও হয় যাতে তুমি কিছু খুঁজে নিতে পারো। আজ ঘোষণা করলাম, কাল থেকে বেকার হয়ে গেলে এটা হয় না। অবশ্য একেবারে হয় না যে সেটাও বলা যায় না। কিন্তু সেই জন্যই তো সরকারি, বেসরকারি জায়গার ফারাক। মানুষ সরকারি চাকরির জন্য অত খেটে পরীক্ষা দেয় জব সিকিউরিটি পাবে বলেই। যদি সেখানেও সেটা না থাকে তবে দুটোর আর ফারাক কী রইল?' তিনি এদিন আরও বলেন, 'এটুকু বলতে পারি যতদিন এই সরকার আছে আমার মনে হয় বেসরকারি চাকরি অনেক বেশি নিরাপদ, এবং নিরাপত্তা আছে সরকারি চাকরির তুলনায়।'
ডেলয়েটে কর্মরতা মানবী কুন্ডু (নাম পরিবর্তিত) জানিয়েছেন, 'যাঁরা বেসরকারি জায়গায় চাকরি করেন গঙ্গা জানেন যে সরকারি চাকরির মতো এখানে নিরাপত্তা নেই। সেই মানসিকতা নিয়েই আসেন। আর তাছাড়া আজ ধরুন আমি কোনও বেসরকারি জায়গায় চল্লিশ হাজার আয় করছি। কাল এটা ছেড়ে অন্য জায়গায় গেলে বেশ মোটা অঙ্কের হাইক নিয়েই যাব। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কি সেটা হয়? ওখানে তো জব সিকিউরিটি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাই আসল।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় চলা এই বিতর্ক প্রসঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা মধুমিতা দাস (নাম পরিবর্তিত) জানিয়েছেন, 'বেসরকারি জায়গায় ছাঁটাই হয়। অন্যায় হয়। ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়। কিন্তু যাতে সেই যাঁতাকলে না পড়তে হয় তাই কষ্ট করে পড়াশোনা করে ছেলেমেয়েগুলো সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেয়। পাশ করে। বেসরকারি জায়গায় কেন চাকরি যায়? কোম্পানির লস, কাজ না করতে পারা , এই ক্ষেত্রে (এসএসসি) কোনটা হয়েছে বলবেন? আজ যে ৪০-৪২ বছরের মানুষগুলো বেকার হল যাঁরা হয়তো আর কিছুই পারেন না পড়ানো ছাড়া তাঁরা কী করবেন বলবেন? দুটোর স্রেফ কোনও তুলনাই হয় না।'
আরও পড়ুন: বিয়ে পাকা হানি বাফনার? পাবদা থেকে চিংড়ি-মাংসে এলাহি আয়োজনে সারলেন আইবুড়োভাত! পাত্রী কে?
কানাড়া ব্যাঙ্কে কর্মরতা অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় (নাম পরিবর্তিত) জানিয়েছেন, 'আমরা যাঁরা সরকারি চাকরি করি তাঁরা কিন্তু কখনই বেসরকারি চাকরিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য কিছুই করি না, বা বেসরকারি চাকুরদের খাটো চোখে দেখি না। বরং, উল্টোটা। বেসরকারি চাকরির মাইনে বৃদ্ধি, অন্য জায়গায় সুইচ করার সুযোগ ইত্যাদির প্রশংসা করি।'
আপনার কী মত এই বিষয়ে?