অস্ট্রেলিয়ার একাধিক ক্রিকেটাররা ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতির পরে ‘আতঙ্কে’ ভুগছেন। আইপিএল ও পিএসএল আবার শুরু হলে ফিরবেন কিনা—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা এখনও নিশ্চিত নন যে ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL) পুনরায় শুরু হবে কি না এবং হলে তারা বাকি কয়েকটি ম্যাচ খেলতে ভারতে ফিরবেন কি না। একই রকম অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL)-এর দশম আসর ঘিরেও।
ভারতে আইপিএল খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা শনিবার নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। এর একদিন আগেই, অর্থাৎ শুক্রবার, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার জেরে আইপিএল স্থগিত করা হয়েছিল। অন্যদিকে, PSL ২০২৫-এর অংশ হওয়া অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রাও পাকিস্তান ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কারণ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) টুর্নামেন্টের শেষ পর্ব সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা বাতিল করেছে।
আরও পড়ুন … মোহনবাগানেই থাকছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস! আরও এক বছর সবুজ-মেরুন জার্সি গায়েই মাঠে নামবেন
তবে শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর দুটি টুর্নামেন্টই পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান আবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়, যখন শ্রীনগর ও জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং দুই শহরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল—তারা কি সত্যিই ফিরে যাবেন IPL ও PSL-এ, ‘গত সপ্তাহে যেসব ঘটনার সাক্ষী হয়েছে তাতে তারা আতঙ্কিত ও মানসিকভাবে প্রভাবিত।’
আরও পড়ুন … স্থগিত হয়ে যাওয়া IPL 2025 আবার শুরু হবে কবে? BCCI-র হাতে কি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই?
শনিবারের একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, BCCI বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ-কে আইপিএল ২০২৫-এর বাকি ১৬টি ম্যাচ (১২টি লিগ ও ৪টি প্লে-অফ) আয়োজনের জন্য বেছে নিয়েছে। যদিও এই ভেন্যুগুলো পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অনেক দূরে, তবে প্যাট কামিন্স, ট্র্যাভিস হেড ও নাথান এলিস-এর মতো তারকারা হয়তো আর ফিরবেন না, কারণ তাদের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংস ইতিমধ্যেই প্লে-অফ থেকে ছিটকে পড়েছে এবং হাতে মাত্র এক বা দুইটি ম্যাচ বাকি।
আরও পড়ুন … কোহলি এখনও অবসর প্রসঙ্গে নিজের অবস্থানে দৃঢ়! বিরাটকে নিয়ে হাল ছাড়ছে না BCCI
এ ছাড়া, আইপিএল উইন্ডো ২৫ মে শেষ হচ্ছে, এর পরেই অস্ট্রেলিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১ জুন লর্ডসে শুরু হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
PSL-এর ক্ষেত্রে মূল উদ্বেগ লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা নিয়ে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানে থাকা খেলোয়াড়রা শুক্রবার এক নাটকীয় পরিস্থিতি থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান, যখন তারা ইসলামাবাদের একটি এয়ারবেস থেকে উড়ে যান—যেখানে কয়েক ঘণ্টা পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।’ এরপরে তারা বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। জানা যাচ্ছে অনেকেই আর পাকিস্তানে পিএসএল খেলতে যেতে চান না। নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল তো বলেই দিয়েছেন যে তিনি আর পাকিস্তানে যাবেন না। জানা গিয়েছিল টম কারান নাকি কান্নাকাটি করেছেন। ফলে বলা যেই পারে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আইপিএল ও পিএসএল-এ বেশ প্রভাব ফেলেছে।