কামব্যাক ম্যাচে উইকেট না পেলেও মন্দ বল করেননি জসপ্রীত বুমরাহ। আরসিবির ব্যাটারদের আগ্রাসী মেজাজের সামনে বুমরাহ তুলনায় কৃপণ বোলিং করেন। যদিও তার পরেও বেঙ্গালুরুকে সস্তায় আটকে রাখা সম্ভব হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে। ওয়াংখেড়েতে আরসিবি দু'শো টপকে বিরাট ইনিংস গড়ে তোলে। সৌজন্যে বিরাট কোহলি ও রজত পতিদারের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালালেও জয় তুলে নেওয়া সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। ফলে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর কাছে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে অল্পের জন্য হারের মুখ দেখতে হয় ৫ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি কোহলি ও পতিদারের
সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আরসিবিকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই দলনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। আরসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২২১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। বিরাট কোহলি ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
রজত পতিদার ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৬৪ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। এছাড়া ২২ বলে ৩৭ রান করেন দেবদূত পাডিক্কাল। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৯ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন জিতেশ শর্মা। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ফিল সল্ট ৪ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি লিয়াম লিভিংস্টোন। ১ রানে নট-আউট থাকেন টিম ডেভিড।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৪ ওভারে ৫৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১ ওভারে ১০ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন বিগনেশ পুতুর। জসপ্রীত বুমরাহ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মোটে ২৯ রান খরচ করেন।
তীরে এসে তরী ডোবে মুম্বইয়ের
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০৯ রানে আটকে যায়। অর্থাৎ, তীরে এসে তরী ডোবে এমআইয়ের। ১২ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে আরসিবি। ওয়াংখেড়েতে ১০ বছর পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে পরাজিত করে বেঙ্গালুরু। ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান ওঠে। মুম্বই হারলেও হাই-স্কোরিং ম্যাচে মনোরঞ্জন হয় ওয়াংখেড়ের দর্শকদের।
ওপেন করতে নেমে রোহিত শর্মা ৯ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১০ বলে ১৭ রান করে মাঠ ছাড়েন অপর ওপেনার রায়ান রিকেলটন। তিনি ৪টি চার মারেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে উইল জ্যাকস ১৮ বলে ২২ রান করেন। মারেন ২টি চার ও ১টি ছক্কা। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সূর্যকুমার যাদব ২৬ বলে ২৮ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তিনি ৫টি চার মারেন।
জলে যায় তিলকের হাফ-সেঞ্চুরি
তিলক বর্মা পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ৪২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন।
মিচেল স্যান্টনার ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪ বলে ৮ রান করে আউট হন। নমন ধীর ৬ বলে ১১ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি দীপক চাহার। ১ রানে নট-আউট থাকেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১ বল খেলে খাতা খুলতে পারেননি জসপ্রীত বুমরাহ।
আরসিবির হয়ে ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন জোশ হেজেলউড। এছাড়া ২টি উইকেট নেন যশ দয়াল। ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন ভুবনেশ্বর কুমার। ম্যাচের সেরা হন রজত পতিদার।