আইপিএলের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে। হার্দিক পাণ্ডিয়া যে এই ম্যাচে প্ল্যানিং করেই মাঠে নেমেছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে শুরু থেকেই। অভিষেক শর্মার ক্যাচ মিস না করলে আগেই সানরাইজার্সকে ধাক্কা দিতে পারত মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল। তবে হার্দিক কিন্তু বল হাতে নজর কাড়লেন এদিনের ম্যাচে।
নিজের প্রথম দুই ওভারের শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কের ঝুলিতে রয়েছে ১টি উইকেট। দিয়েছেন মাত্র ১৯রান। অর্থাৎ ইকোনমি রেট অনেকটাই কম তাঁর। এদিনের ম্যাচে দুই বাঁহাতি ওপেনারকেই বেশ সমস্যায় ফেললেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক। কেন তিনি আইপিএলের এবারের পার্পেল ক্যাপের তালিকায় রয়েছেন, সেটাই যেন বল হাতে প্রমাণ করে দিলেন হার্দিক।
ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে এসেই ধাক্কা দিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ২৮ বলে ৪০ রান করা অভিষেক শর্মাকে তিনি সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন। তার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা রাজ অঙ্গদ বাওয়ার হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরেছিলেন অভিষেক। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারেও অনবদ্য বোলিং করলেন হার্দিক। মিডল ওভারে তাঁর বোলিং বেশ কার্যকর হল।
হেডকে দুবার ক্যাচ আউট করেন হার্দিক?
নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে ট্র্যাভিস হেডের উইকেটটিও নেন হার্দিক। তবে সেটা নো বল হয়ে যায়। চতুর্থ বলে উইল জ্যাকস লং অনে দাঁড়িয়ে তাঁর ক্যাচ নিলেন, কিন্তু হেড যখন সাজঘরে ফিরছিলেন তখনই বাজল বেল। বোঝা গেল, হার্দিক কিছু ভুল করে ফেলেছেন। এরপরই আশঙ্কা শুরু হয়, তাহলে কি বড় ভুল হয়ে গেল?
ফ্রি হিটেও ক্যাচ তুললেন হেড
হার্দিকের পরের বলটি ছিল ফ্রি হিট, এবারও বড় শট মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ট্র্যাভিস হেড। কিন্তু ফ্রি হিট থাকায় তিনি আউট হননি। অর্থাৎ পরপর দুই বলেই ক্যাচ হওয়া সত্ত্বেও ট্র্যাভিস হেড উইকেটে টিকে যান হার্দিকের ওভারে। এরপরই অনেকে আশঙ্কা করছিলেন, এর আগের ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নো বলে অভিষেক শর্মা আউট হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়ার পর শতরান করেছিলেন। এই ম্যাচেও কি হেড তেমন কিছু করে দেখাবেন?
ধীর গতির ইনিংস হেডের
যদিও ট্র্যাভিস হেড নিরাশ করলেন সমর্থদের। উইল জ্যাকসের ওভারে তিনি আউট হয়ে গেলেন। দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলেই লং অফের ওপর থেকে শট খেলতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হলেন। মিচেল স্যান্টনার ক্যাচ ধরে তাঁকে সাজঘরে ফেরালেন। ২৯ বলে মাত্র ২৮ রান করে আউট হলেন অজি ওপেনার। শেষ কবে তিনি এত ধীর গতিতে ব্যাটিং করেছেন, তা অনেকেরই মনে পড়ছে না। আসলে দল হারায় তিনিও যে চাপে রয়েছেন এবং ধরে খেলতে চেষ্টা করছিলেন, সেটাই বোঝা গেল এই ইনিংসে। মারেন মাত্র তিনটি চার। যদিও এই ম্যাচে নিজের আইপিএল কেরিয়ারে ১০০০ রানও পূর্ণ করলেন তিনি।