অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক বর্তমানে রয়েছে খবরের শিরোনামে। জামাইকায় পিঙ্ক বল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্টার্ক একাই ছয় উইকেট নিয়েছিলেন। বাঁহাতি পেসারের এমন দুর্দান্ত ইনিংসের সৌজন্যেই ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ২৭ রানেই। মাত্র ১৫ বলের মধ্যেই ফাইভ উইকেট হল নিয়ে ফেলেন মিচেল স্টার্ক, ৯ রানে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট নিয়ে কেরিয়ারের সেরা বোলিং ফিগারও পান তিনি এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং উচ্ছসিত স্টার্কের এমন ইনিংসে। তিনি বলছেন, স্টার্ককে দেখে তিনি শুরুর দিকেই বুঝেছিলেন, এই ছেলে একদিন ক্রিকেট সাম্রাজ্যে রাজত্ব করবে। ২০০৯ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে অভিষেক হয় স্টার্কের। এরপর ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট একাদশে ঠাই পান স্টার্ক।
পন্টিং বলছেন, ‘ও একটা দুর্দান্ত কেরিয়ার তৈরি করেছে, টেস্টে ৪০০র বেশি উইকেট তুলে নিয়ে। যারা ওকে শুরুর দিকে দেখেছে, তাঁরা জানবে যে ওকে দেখেই বোঝা গেছিল যে একদিন ও দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলবে কিংবা টেস্টে ৪০০-৫০০ উইকেট নেবে ফাস্ট বোলার হিসেবে। ওর উচ্ছতা ৬.৫ ফুট। তবে সেটা সত্ত্বেও ওর গতি কখনই কমেনি। মোটামুটি ১৪০র ওপর গতিবেগে টানা বোলিং করে। কখনও কখনও সেটা তো আবার ১৫০ কিমি গতিবেগকেও ছাপিয়ে যায়। ডানহাতি ব্যাটারদের ক্ষেত্রে নতুন বল ভিতরে আনার অর্থাৎ ইনসুইং করানোর দুর্দান্ত দক্ষতা রয়েছে স্টার্কের মধ্যে ’।
এরপরই সচিন তেন্ডুলকরকে করা স্টার্কের একটি স্পেলের কথা মনে করিয়ে রিকি বলেন, ‘আমার এখনও মনে আছে ও সচিন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধে একটা স্পেল করেছিল, যেখানে ও একটা শর্ট বল করেছিল। সচিন সেই বলটা কোনও মনে লেগ সাইডে খেলে দেয়। এবার যখন দেখা যায়, যে একজন বোলারের এমন পেস আর বাউন্স রয়েছে, যেটা সচিনের পক্ষেও সামাল দেওয়া কঠিন, তখন বোঝা যায় যে ওর মধ্যে সত্যিই স্পেশাল কিছু রয়েছে ’। গ্লেন ম্যাকগ্রাথের পর স্টার্কই দ্বিতীয় অজি ফাস্ট বোলার যিনি ১০০টি টেস্টে খেললেন, স্টার্কের ঝুলিতে রয়েছে ৪০২টি টেস্ট উইকেট।