আইপিএল ২০২৫ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এর মাঝেই বুধবার (২১ মে) প্লে-অফের ভেন্যু ঘোষণা করে দিয়েছে বিসিসিআই। ইডেন থেকে সরানো হয়েছে ফাইনাল এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ। শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদ থেকে সরানো হয়েছে এলিমিনেটর এবং প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। ইডেনের ম্যাচ দু'টি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমেদাবাদে। আর হায়দরাবাদের ম্যাচ দু'টি পঞ্জাবের মুল্লানপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যাইহোক পাকিস্তান থেকে মাত্র ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মুল্লানপুর। সম্প্রতি পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে, ভারতপাকিস্তানের মধ্যে কার্যত সামরিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার পরেও কেন বিসিসিআই কেন মুল্লানপুরে আইপিএলে-র প্লে-অফের ম্যাচ করার সিদ্ধান্ত নিল? তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ হিসেবে আবহাওয়ার কথা বলে বলা হচ্ছে, তবুও হায়দরাবাদ থেকে পাকিস্তান সীমান্তের এত কাছে এই ম্যাচগুলি স্থানান্তর করা সত্যিই একটি আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ, যদিও বিসিসিআই এর জন্য নিজেদের পিঠ চাপড়াচ্ছে।
পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আইপিএল ম্যাচ আয়োজনের কারণ
পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচ আয়োজনের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে প্রথম কারণটি হল, আবহাওয়া। আইপিএলের প্লে-অফ এমন জায়গায় স্থানান্তরিত করা উচিত, যেখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় ৬০%। এছাড়াও পাকিস্তানের প্রতি শক্তি প্রদর্শনকে আরও একটি কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আইপিএলের প্লে-অফের কোয়ালিফায়ার ওয়ান এবং এলিমিনেটর- ম্যাচ দু'টি প্রাথমিক ভাবে হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু লিগ এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ার কারণে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছিল। পরিবর্তে, কোয়ালিফায়ার ১ এখন ২৯ মে এবং এলিমিনেটর ৩০ মে মুল্লানপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতকে পাকিস্তানের প্রতি আস্থা দেখাতে হবে
বিসিসিআইয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ক্রিকব্লগারের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছেন যে, কেবল আবহাওয়াই নয়, পাকিস্তানের প্রতি ভারতের আত্মবিশ্বাসও এর পিছনে কারণ। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া ছিল নির্ধারক ফ্যাক্টর, কিন্তু পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে আইপিএল ম্যাচ আয়োজনও ভারতের আত্মবিশ্বাসের গল্প বলে।’
মুল্লানপুর স্টেডিয়াম কেন বিশেষ?
পঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এই স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় বারের মতো আইপিএল ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে। এই স্টেডিয়ামে ৩৮,০০০ দর্শক খেলাটি দেখতে পারবেন এবং এই স্টেডিয়ামটি ৪০ একর জুড়ে বিস্তৃত। স্টেডিয়ামটিতে আন্তর্জাতিক মানের ড্রেসিং রুম, একটি হেরিংবোন ড্রেনেজ সিস্টেম এবং ৪৯টি কর্পোরেট বক্স রয়েছে। স্টেডিয়ামটি ইতিমধ্যেই ন'টি আইপিএল ম্যাচ আয়োজন করেছে, যার মধ্যে চারটি এই মরশুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হল, এই স্টেডিয়ামে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলা প্লে-অফ ম্যাচগুলোতে কেমন পরিবেশ বিরাজ করবে?