প্রথম ইনিংসেই খলিল আহমেদকে পিটিয়ে ৩৩ রান নিয়েছিলেন রোমারিও শেফার্ড। সেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তখনও তুলছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু সেই স্বাদে যেন খানিকটা নিম পাতার রস মিশিয়ে দিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের ১৭ বছরের তরুণ আয়ুষ মাত্রে। সিএসকে-র ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে একেবারে পিটিয়ে ছাতু করলেন তিনি। ৪-৪-৪-৬-৪-৪- মোট ২৬ রান নিলেন এই ওভার থেকে। চতুর্থ ওভার শেষে তখনই ১৫ বলে ৩৬ করে ফেলেছিলেন আয়ুষ মাত্রে। এর পর ২৫ বলে তাঁর হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি গড়ে ফেলেন বিশেষ নজির।
তৃতীয় কনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে হাফসেঞ্চুরির নজির
এটি আয়ুষের প্রথম আইপিএল হাফসেঞ্চুরি। ১৭ বছর ২৯১ দিন বয়সে আয়ুষ আইপিএলে প্রথম হাফসেঞ্চুরি করলেন। তৃতীয় কনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে আইপিএলে হাফসেঞ্চুরির নজির গড়লেন আয়ুষ মাত্রে। কনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে আইপিএলে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডটি রয়েছে তাঁর বন্ধু বৈভব সূর্যবংশীর দখলে। রাজস্থান রয়্যালসের বৈভব এবার আইপিএলেই ২৮এপ্রিল গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে শুধু হাফসেঞ্চুরিই নয়, কনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে আইপিএলে সেঞ্চুরি করারও নজির গড়েছে। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থান রয়েছেন রিয়ান পরাগ। রিয়ান আবার ২০১৯ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৭ বছর ১৭৫ দিন বয়সে রাজস্থান রয়্যালসের হয়েই দ্বিতীয় কনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে আইপিএলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ডটি গড়েছিলেন।
সিএসকে-র জার্সিতে আইপিএলে-র সর্বকনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে অর্ধশতরান
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে বৈভব সূর্যবংশীর ওপেনিং পার্টনার হলেন আয়ুষ মাত্রে। যে কারণে দু'জনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। বৈভব আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলছে। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম ভারতীয় হিসেবে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডের মালিক এখন বৈভব। আর এবার নজির গড়ে ফেললেন তার বন্ধু আয়ুষ মাত্রে। আয়ুষ যে শুধুমাত্র আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় কনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, তাই-ই নয়, তিনি একই সঙ্গে সিএসকে-র জার্সিতে আইপিএলে-র সর্বকনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবেও অর্ধশতরান করেছেন।
আরও পড়ুন: সচিনের রেকর্ড ভেঙে দেবে RR-এর ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী, বড় ভবিষ্যদ্বাণী মাইকেল ভনের
৬ রানের জন্য শতরান মিস
তবে এই ম্যাচে আয়ুষের বড় আফসোস থাকবে। সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছেও, মাত্র ৬ রানের জন্য তা অধরাই থাকল। আয়ুষ এদিন শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৯৪ করে সাজঘরে ফিরে যান। বাইরের লেন্থে ধীর গতির বল করেছিলেন লুঙ্গি এনগিদি। মাত্রে বড় শট খেলার লোভ সামলাতে পারেনি। তবে গতির অভাবের কারণে শটটি অনেকটা উপরে উঠলেও, ছক্কা হওয়ার মতো দূরে যায়নি। ক্রুণাল পান্ডিয়া ডিপ মিড উইকেট থেকে বাঁ-দিকে ছুটে গিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ছয় রান দূরে থেকেই ইনিংস শেষ হয় আয়ুষ মাত্রের। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি ছক্কা এবং ৯টি চারে।