রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে এবার সরাসরি প্রশংসা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ডিরেক্টর সুধাংশু প্রসাদ। মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে আয়োজিত এক বিশেষ গ্রাহক-সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাংলার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার গতি ও চরিত্র অনেকটাই বদলে দিয়েছে। (আরও পড়ুন: DA মামলার শুনানি তো শেষ,২৫% মহার্ঘ ভাতা না মেটানোয় রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে?)
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জালিয়াতি রুখতে পদক্ষেপ, ফর্ম জমার সময় থাকতে হবে আবেদনকারীকে
সুধাংশু প্রসাদের দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধাভোগীদের হাত ধরেই গত কয়েক বছরে রাজ্যে পাঁচ কোটিরও বেশি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ছে ব্যাংকে। তাঁর কথায়, মেয়েরা কখনও ঋণখেলাপি হন না। তাই তাঁদের জন্য সব ব্যাঙ্কই প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিতে প্রস্তুত। (আরও পড়ুন: পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেকেই আটকে নেপালে, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: শিয়ালদা-রানাঘাট, শিয়ালদা-বনগাঁ এসি লোকাল ট্রেনে এবার বাড়ল স্টপ, জানুন বিশদে
এদিন মূল অনুষ্ঠানটি ছিল পুরনো গ্রাহকদের জন্য রি-কেওয়াইসি সচেতনতা ক্যাম্প। ব্যাঙ্ক কর্তাদের দাবি, এখনও রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার অ্যাকাউন্টে কেওয়াইসি হালনাগাদ হয়নি। গ্রাহকদের নিয়মিত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিক বলবীর সিং, অনির্বাণ দত্ত, অঞ্জলি কুমার, প্রণব বিশ্বাস ও সঞ্জীব কুমার। গ্রাহকদের সুবিধার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের আধিকারিক জানান, এখন টাকা জমা না করেও অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব। তাতে গ্রাহকরা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এর সঙ্গে মিলবে ২ লক্ষ টাকার জীবনবিমা, এবং কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সুরক্ষা প্রকল্প অটল পেনশন যোজনা, সুরক্ষা বিমা, জীবনজ্যোতি বিমার সুবিধাও।
ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের সতর্ক করা হয় যে, ব্যক্তিগত কোনও তথ্য বা ওটিপি কাউকে শেয়ার করা উচিত নয়। কোনওভাবে অর্থ খোয়া গেলে তা অবিলম্বে ব্যাঙ্ককে জানাতে হবে। রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে এর আগে রাজনৈতিক বিতর্ক থাকলেও, এবার সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাদের স্বীকৃতি প্রকল্পটিকে এক নতুন মাত্রা দিল। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই উদ্যোগের ফলে মহিলাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি যেমন বেড়েছে, তেমনই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ওপরও তৈরি হয়েছে এক নতুন আস্থা।