দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করল হরিদেবপুর থানার তদন্তকারীরা। ধৃতের নাম চন্দন মালিক। তাঁকে সোমবার গভীর রাতে বর্ধমান স্টেশন এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়। (আরও পড়ুন: শিয়ালদা-রানাঘাট, শিয়ালদা-বনগাঁ এসি লোকাল ট্রেনে এবার বাড়ল স্টপ, জানুন বিশদে)
আরও পড়ুন: বাম শাসিত কেরলে বাঙালি পরিযায়ী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, আতঙ্কে পরিবার
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে কয়েক মাস আগে আলাপ হয়েছিল চন্দনের। নিজেকে দক্ষিণ কলকাতার এক খ্যাতনামা পুজো কমিটির কর্তা হিসেবে পরিচয় দেয় সে। এই সূত্র ধরেই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় আরেক যুবক, দীপকে। দু’জনেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মেয়েটিকে পুজো কমিটির কাজে যুক্ত করে দেবে। নিয়মিত যোগাযোগের মধ্য দিয়ে তরুণীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। (আরও পড়ুন: পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেকেই আটকে নেপালে, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: DA মামলার শুনানি তো শেষ,২৫% মহার্ঘ ভাতা না মেটানোয় রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে?
চলতি মাসের পাঁচ তারিখ ছিল নির্যাতিতার জন্মদিন। সেদিনই চন্দন ও দীপ তাঁকে রিজেন্ট পার্কের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানেই তরুণীর উপর চড়াও হয় দু’জন। গণধর্ষণের শিকার হয়ে কোনওমতে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। পরের দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই চন্দন ও দীপ পলাতক ছিল। কলকাতা থেকে শুরু করে আশপাশের জেলায় তাদের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর মেলে, চন্দন বর্ধমান স্টেশনে দেখা দিতে পারে। সেই সূত্র ধরেই সোমবার রাতে স্টেশন চত্বরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের ধারণা, ভিন রাজ্যে পালানোর জন্য ট্রেন ধরার পরিকল্পনা করেছিল সে। ধৃতকে ইতিমধ্যেই কলকাতায় আনা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, জেরার মাধ্যমে চন্দনের কাছ থেকে পলাতক দীপের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। পাশাপাশি ফ্ল্যাট এবং ঘটনার দিন সেখানে কারও উপস্থিতি ছিল কি না, তা নিয়েও খোঁজখবর চালাচ্ছে পুলিশ।