পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ওপর আইসিসি রুষ্ট, শেষ কয়েকদিন ধরেই এই কথা শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, আইসিসির প্রতিনিধি দল আসবে পাকিস্তানে। তাঁরা পর্যবেক্ষণ করবেন, আদৌ সেদেশে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন সম্ভব কিনা। কারণ হাতে আর এক মাসের কিছু বেশি সময় থাকলেও গদ্দাফি স্টেডিয়ামসহ বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামের কাজ এখনও অনেকটা বাকি।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
আইসিসিকে ঘুরিয়ে বার্তা দিল পিসিবি-
তবে বারবারই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সমর্থকদের জানিয়ে এসেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে তাঁদের কোনও সমস্যাই হবে না। গদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং করাচিতেও পুরোদমে কাজ চলছে বলে দাবি করেছে তাঁরা। গদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং ন্যাশনাল ব্যঙ্ক স্টেডিয়ামের কাজ দ্রুত গতিতে চলায় তাই পিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিদেশিয় সিরিজের ম্যাচে এই দুই ভেনুতে সরিয়ে দিতে। মুলতানে হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং সাউথ আফ্রিকার ত্রিদেশিয় সিরিজের খেলা। এই সিদ্ধান্ত পিসিবি নিয়েছে নিজেদের আত্মবিশ্বাস দেখানোর জন্য।
আরও পড়ুন-সুস্থ হয়ে উঠছেন… চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগেই নির্বাচকদের বার্তা কুলদীপের!
গদ্দাফি স্টেডিয়ামের আপডেট-
গদ্দাফি স্টেডিয়ামের দর্শক আসন ৩৫০০০ করে দেোয়া হয়েছে। এছাড়াও নতুন চেয়ার বসানো হয়েছে স্টেডিয়াম জুড়ে। এছাডাও অত্যাধুনিক এলইডি লাইট বাড়ানো হয়েছে, যাতে খেলা টিভিতেও ভালোভাবে দেখা যায়। দুটি বড় জায়ান্ট স্ক্রিনও মাঠে লাগানো হয়েছে যার মাপ ৮০*৩০ ফিট এবং আরেকটি ২২ *৩৫ ফিট। জানুয়ারির শেষেই সংস্কার হওয়া এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হওয়ার কথা। এছাড়াও নতুন হসপিটালিটি বক্স ক্রিকেটারদের স্টাফদের জন্যেও তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
ন্যাশনাল ব্যঙ্ক স্টেডিয়ামের আপডেট-
বিশ্ববিদ্যালয় এন্ডের দিকে ক্রিকেটার এবং স্টাফদের জন্য নতুন হসপিটালিটি বক্স বা রুম তৈরি করা হয়েছে ন্যাশনাল ব্যঙ্ক স্টেডিয়ামে। এছাড়াও সম্প্রচারের মান বাড়ানোর উদ্যোগে ৩৫০টি এলইডি লাইন লাগানো হয়েছে, যাতে দর্শকরাও ভালোভাবে খেলা দেখতে পারেন। দুটি নতুন রিপ্লে স্ক্রিন লাগানো হয়েছে, এছাড়াও ৫০০০ নতুন চেয়ারও লাগানো হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের আপডেট-
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন শেষ মূহূর্তের কাজ চলছে। আপাতত ১০ হাজার চেয়ার বসানোর দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও হসপিটালিটি বক্স এবং রিপ্লে স্ক্রিন বসানোর কাজও চলছে। স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতে এই কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
আউটফিল্ডের দিকেও নজর দিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কিউরেটররা। টনি হেমিংয়ের অধীনে খেলার পিচ এবং আউটফিল্ডের রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। যাতে মাঠ এবং পিচ ভালো থাকে তাহলে লাহোর এবং করাচিতে কোনওরকম প্রতিযোগিতামুলক খেলা এখন রাখা হয়নি। গতবছর রাওয়ালপিন্ডিতে শেষবার ম্যাচ আয়োজন হয়েছিল।
পাক বোর্ড জানিয়েছে আইসিসিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাঁরা সমস্ত স্টেডিয়াম হস্তান্তর করে দেবে। যাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনেও কোনও সমস্যা না হয়। প্রায় ২৫০র বেশি শ্রমিক দিনরাত এক করে কাজ করছে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে। পাক বোর্ড আশা করছে, তাঁরা তাঁদের মান বাঁচাতে পারবে সুষ্ঠুভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে।