বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও খুব একটা ভালো জায়গায় নেই পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এমনিতেই প্রথম টেস্ট হেরে কার্যত খাদের কিনারায় ঠেকেছে তাঁরা। বিশ্বটেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা তো দূরের কথা, নিজেদের দেশের মাটিতে সিরিজ হারের সম্ভাবনা এড়াতে লড়ছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটাররা তেমন নজর কাড়তে পারলেন না, ফলে চাপ আরও বাড়ল দলের ওপর।
যা পরিস্থিতি, তাতে পাকিস্তানের বোলাররা যদি দুরন্ত পারফরমেন্স করে না তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হারতেও হতে পারে তাঁদের। কারণ সিরিজ এখন বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে ১-০ ফলে। আর দ্বিতীয় দিনের শেষে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৩০০ রানও তুলতে পারেনি পাকিস্তান, নিজেদের প্রথম ইনিংসে। ফলে চাপ বেজায় বাড়ছে শান মাসুদের দলের কাছে। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান দল। দ্বিতীয় দিনের শেষে বিনা উইকেটে ১০ রান বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপ ফাইনালে SKY-র নেওয়া ক্যাচ নিয়ে রসিকতা! সমর্থকদের রোষানলে প্রোটিয়া তারকা…
টস জিতে পাকিস্তান দলকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ দল। গত ম্যাচে পরে ব্যাট করতে এসে দেখা গেছিল ব্যাটারদের খেলতে সুবিধা হচ্ছে, সেই অনুমান কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় টেস্টেও আগে পাকিস্তানকে ব্যাটিং করানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আর ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আবদুল্লাহ শাফিক।
আরও পড়ুন-US Open-‘জীবনের সব থেকে খারাপ টেনিস খেলেছি’, ইউএস ওপেন থেকে বিদায়ের পর আক্ষেপ জকোভিচের…
এরপর আরেক ওপেনার স্যাম আয়ুবের সঙ্গে পাকিস্তানের ইনিংসে হাল ধরেই অধিনায়ক শান মাসুদ। দুই ক্রিকেটারই অর্ধশতরান করেন। ৫৮ রানে আউট হন স্যাম আয়ুব, ৫৭ রান করেন শান মাসুদ। এরপর পাকিস্তান দলের সিমিত ওভারের অধিনায়ক বাবর আজম ৩১ রান করেন। সৌদ শাকিল করেন ১৬ রান, মহম্মদ রিজওয়ান করেন ২৯ রান। এরপর পাকিস্তান দলের হাল ধরেন সালমন আলি আঘা। তিনি অর্ধশতরান করেন। ৫৪ রান করে তাস্কিন আহমেদের বলে আউট হন তিনি। এরপর খুররাম শেহজাদ ১২, মহম্মদ আলি ২,আবরার আহমেদ ৯ রান করে। শেষ পর্যন্ত ২৭৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন-Durand Cup Final Live Updates-মোহনবাগানের মুখোমুখি নর্থইস্ট ইউনাইটেড,দলে শুভাশিস
বাংলাদেশের হয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও দুরন্ত বোলিং করলেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ২২.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট। পেসার তাসকিন আহমেদ নেন ৩ উইকেট। ১টি উইকেট নিলেন শাকিব আল হাসান।