বিরাট কোহলির অনুপস্থিতি ২০২০-২১ সালের বর্ডার গাভাসকর সিরিজ, অস্ট্রেলিয়ার মাঠে গিয়েই জিতে এসেছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। ফলে অধিনায়ক হিসেবে তিনি স্রেফ মুম্বই রঞ্জি দলের হয়েই সফল নন, তিনি জাতীয় দলের হয়েও ততটাই সফল। যদিও তিনি সেইভাবে সুযোগটা পাননি ক্যাপ্টেন্সির, আর এখন তো তিনি বাদই পড়েছেন দল থেকে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল।
যদিও নিজে দল থেকে বাদ পড়লেও ইংল্যান্ডে টিম ইন্ডিয়াকে সিরিজ জিততে গেলে কি করতে হবে, সেটা জানিয়েই গম্ভীর-গিলদের পরামর্শ দিলেন আজিঙ্কা রাহানে। হেডিংলে টেস্টে ভারতীয় দলের হারের পর আর স্পেশালিস্ট বোলার না নিয়ে টিম ইন্ডিয়া তিনজন অলরাউন্ডার নিয়ে খেলছে। তৃতীয় টেস্টে ভারতীয় দল ১৯৩ রান তাড়া করেও জিততে পারেনি। নীতীশ কুমার রেড্ডি এবং ওয়াসিংটন সুন্দর বল হাতে মোটামুটি ভালোই পারফরমেন্স দেখানোয় তাঁদেরকে বসিয়ে দেওয়া কঠিনই হবে। আর জাদেজাও ব্যাট হাতে ভালোই ছন্দে রয়েছেন। তাই রাহানে মনে করছেন, এই ভারতীয় দলে ব্যাটারের থেকেও বেশি প্রয়োজন একজন অতিরিক্ত বোলারের, যাতে ২০ উইকেট নেওয়া যায়। কারণ টেস্টে ২০ উইকেট না নেওয়া গেলে, ম্যাচও জেতা যায় না।
রাহানের কথায়, ‘আমরা সবাই জানি চতুর্থ দিন আর পঞ্চম দিনে ব্যাটিং করা কঠিন হয়। এই ধরণের পিচে রান করা তখন কঠিনই হয়ে যায়। ইংল্যান্ড ভালোই বল করেছে লর্ডসে। আমার মনে হয়েছে ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে বড় রান করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। আর আমার মনে হয়, ভারতীয় দলকে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে গেলে আরেকজন অতিরিক্ত বোলারকে খেলাতে হবে। কারণ টেস্ট ম্যাচ বা টেস্ট সিরিজ জিততে গেলে ২০টা উইকেট নিতেই হবে ’
এমনিতে গৌতম গম্ভীর অলরাউন্ডার তত্ত্বেই বেশি বিশ্বাসী, সেই স্ট্র্যাটেজি ক্লিকও করেছে টি২০র ক্ষেত্রে। কিন্তু টেস্টে কি আদৌ সম্ভব, অলরাউন্ডার দিয়েই ম্যাচ জেতা? কুলদীপ যাদবকে দলে আনার সম্ভাবনা থাকলেও কার পরিবর্তে তাঁকে আনা হবে সেই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এদিকে বেন স্টোকসের ক্যাপ্টেন্সিরও প্রশংসা করছেন রাহানে। তাঁর কথায়, ‘ফিল্ডারদের ক্ষেত্রে লাঞ্চের আগে রিল্যাক্স থাকাটা স্বাভাবিক। যখন ২-৩ বল বাকি মধ্যাহ্নভোজের আগে তখন ব্যাটারদেরও ধৈর্য দেখানো উচিত। কিন্তু ওই সময় পন্তের রান আউটটাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়, আর ইংল্যান্ড খেলায় ফিরে আসে। এরপরের ইনিংসে করুণ নায়ার এলবিডাব্লু হওয়ার পর ইংল্যান্ডের ফিল্ডারদের ১১জন প্রায় ভারতীয় ব্যাটারদের চাপে রাখার কৌশ নেয়, অর্থাৎ টেস্ট জয়ের জন্য ঝাঁপায়। এমন দৃশ্যই তো টেস্ট ক্রিকেটে দেখতে ভালো লাগে। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল ভারতই জিতবে, কিন্তু প্রথম ইনিংসে ৬০-৭০ রান কম ওঠায় একটা ঘাটতি থেকেই যায় ’।