চলতি আইপিএলে কেকেআরকে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অজিঙ্কা রাহানে। রবিবার ইডেনেও তার অন্যথা হয়নি। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কার্যকরী ইনিংস খেলেন নাইট দলনায়ক। দলকে বড় রানের ভিতে বসিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় রাহানের ইনিংস।
তবে শুধু অজিঙ্কার ব্যাটিংই নয়, ইডেনে তাঁর ফিল্ডিং ও দলের জন্য সর্বস্ব সঁপে দেওয়ার মানকিসতা প্রশংসিত হচ্ছে বেশি। আসলে হাতের চোটের বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে তিনি বৈভব সূর্যবংশীর যে ক্যাচটি ধরেন, তা শুধু অসাধারণই নয়, ঝুঁকিরও বটে। ক্যাচ ধরতে গিয়ে রাহানের চোট বাড়লে বাকি টুর্নামেন্টে থেকে তাঁর ছিটকে যাওয়ারও সম্ভাবনা দেখা দিতে পারত।
রাহানের ডানহাতে যে চোট রয়েছে, সেটা এতদিনে সবার জানা। তিনি হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়েই মাঠে নামছেন। রবিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেও হাতে মোটা ব্যান্ডেজ লাগিয়ে মাঠে ফিল্ডিং করতে নামেন রাহানে। সুতরাং, একটু এদিক-ওদিক হলে চোট আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার শুরুতে ব্যাট করে কেকেআর ৪ উইকেটে ২০৬ রান সংগ্রহ করে। তবে ইডেনে এই রান রক্ষা করে জয় তুলে নেওয়াও যে সহজ নয়, সেটা রাহানের থেকে ভালো আর কেই বা বোঝেন। বিশেষ করে রাজস্থানের ব্যাটিং লাইনআপে বৈভব সূর্যবংশীর মতো বিধ্বংসী ব্যাটার থাকায় দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলা মোটেও সহজ ছিল না।
জিততে হলে বৈভবকে শুরুতেই ফেরাতে হতো। তা না হলে তিনি একার হাতেই ম্যাচ বার করে দিতে পারেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সেই সুযোগ চলে আসে। বৈভব আরোরার বলে বড় শট নিতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে বসেন সূর্যবংশী। তাঁর পুল শটে বল ঠিক মতো কানেক্ট হয়নি ব্যাটে। রাহানে মিড-উইকেট থেকে বাউন্ডারি লাইনের দিকে দৌড় লাগান। বলের পিছনে ধাওয়া করে শরীর ছুঁড়ে বল তালুবন্দি করেন নাইট দলনায়ক।
আরও পড়ুন:- ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন বাংলার রিচা, হেরে ফাইনালের টিকিট এখনও অধরা হরমনপ্রীতদের
হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে রাহানের এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্যই খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় বৈভবকে। রাজস্থান বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে সময় নেয়। যার ফলেই তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রানে আটকে যায়। ১ রানের উত্তেজক জয় তুলে নেয় নাইট রাইডার্স।
উল্লেখ্য, রাহানে এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩০ রান করে আউট হন। ২৪ বলের কার্যকরী ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।