দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা ইতিমধ্যে ভারতে চলে এসেছেন। তিনি ফের আইপিএলের ম্যাচ খেলতে প্রস্তুত। এই বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার টি২০ টুর্নামেন্ট চলার সময় তিনি নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করেছিলেন। ডোপ টেস্টে ধরার পড়ার পর, প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদাকে তিন মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, রাবাদা কোনও শক্তিবর্ধক নিষিদ্ধ ড্রাগ নেননি, বরং বিনোদনমূলক একটি ড্রাগ সেবন করেছিলেন। তবে সেটিও ক্রীড়াবিদদের গ্রহণ করা নিষেধ। যাইহোক এবার রাবাদার শাস্তি কমিয়ে এক মাস করা হয়েছে।
রাবাদার শাস্তি কমানো হয়েছে
মাদক সেবনের অভিযোগে রাবাদাকে ৩ মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তাঁর সাজা ৩ মাস থেকে কমিয়ে ১ মাস করা হয়েছে। এর অর্থ, তিনি এখন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে পারবেন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হবে ১১ জুন। এদিকে আইপিএলের ম্যাচ খেলতেও আর কোনও সমস্যা থাকল না রাবাদার। দল চাইলে ৬ মে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে গুজরাট টাইটান্সের ম্যাচে তিনি খেলতে পারেন।
রাবাদার পরীক্ষা জানুয়ারিতে হয়েছিল
সাউথ আফ্রিকান ইনস্টিটিউট ফর ড্রাগ-ফ্রি স্পোর্টস একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল যে, ২১ জানুয়ারি এসএ২০ (SA20) লিগে এমআই কেপটাউন এবং ডারবান সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচের পর কাগিসো রাবাদার ডোপ টেস্ট করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। ১ এপ্রিল সেই পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। সেই সময়ে রাবাদা ভারতে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে আইপিএল খেলতে ব্যস্ত ছিলেন। এই পরীক্ষার ফল বের হওয়ার পরেই, ৩ এপ্রিল গুজরাট টাইটান্সের তরফে জানানো হয় যে, রাবাদা ব্যক্তিগত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে গিয়েছেন।
সাউথ আফ্রিকান ইনস্টিটিউট ফর ড্রাগ-ফ্রি স্পোর্টসের মতে, কাগিসো রাবাদার একটি চিকিৎসা কর্মসূচি চলছিল। তিনি মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধ করার জন্য সচেতনতামূলক একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাবাদা এমন কোনও ওষুধ গ্রহণ করেননি, যা তার খেলার উন্নতি ঘটাবে। তবে তিনি শখের বশে মাদক সেবন করতেন। গাঁজা, কোকেন, মেথামফেটামিন বা ডায়ামরফিন রয়েছে এই তালিকায়। বিশ্ব ডোপিং-বিরোধী সংস্থার (WADA) নিয়ম অনুসারে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গত বছর, নিউজিল্যান্ডের ডগ ব্রেসওয়েলকেও কোকেন গ্রহণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর একই রকম শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
রাবাদাকে গুজরাট মিস করেনি
রাবাদা না খেললেও, গুজরাট টাইটান্স দুরন্ত ছন্দেই রয়েছে। দলটি এখনও পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলেছে এবং এর মধ্যে ৭টিতেই জিতেছে। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে তারা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পঞ্জাব কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পরে চতুর্থ স্থানে আছে গুজরাট টাইটান্স। কিন্তু তারা প্রত্যেকে ১১টি করে ম্যাচ খেলেছে, সেখানে গুজরাট ১০টি ম্যাচ খেলেছে। বর্তমান যেরকম ছন্দে রয়েছে গুজরাট, তাতে তাদের প্লে অফে কার্যত নিশ্চিত, বলা যেতেই পারে। আর প্লে-অফে রাবাদাকে পাওয়া গেলে, সেটা টাইটান্সের জন্য বাড়তি পাওনা হবে।