এটা বিশাল লার্নিং এক্সপেরিয়েন্স: গম্ভীর-নেহরাদের কোচিং নিয়ে কী বললেন ওয়াশিংটন?

ভারতীয় দল হোক কিমবা আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি, ওয়াশিংটন সুন্দর হলেন যে কোনও দলের অধিনায়কের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। ব্যাটিং অর্ডারে যে কোনও স্থানে ব্যাট করতে পারেন এবং ম্যাচের বিভিন্ন পর্যায়ে বল করতে পারার দক্ষতাও রয়েছে তাঁর। ফিল্ডিংয়েও নজর কাড়তে পারেন। এই তিন কারণের জন্যই ওয়াশিংটন সুন্দর যে কোনও অধিনায়কের কাছে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠেন। ২৫ বছর বয়সি এই বাঁহাতি ব্যাটার ও অফস্পিনার এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি ব্যাট এবং বল—দুটোতেই ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারেন; এবং যিনি সহজেই ব্যাটিং অর্ডারে উপরে বা নীচে নামতে পারেন।তাঁর স্পিন বোলিং ইনিংসের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহারযোগ্য, এমনকি পাওয়ারপ্লের সময় নতুন বলেও তিনি বল করেছেন। তবে, অল-ফরম্যাট ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবং আইপিএলেও ধারাবাহিক খেলার সুযোগ খুব একটা পাননি ওয়াশিংটন সুন্দর।টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক খোলামেলা আড্ডায় আইপিএলের ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম, নিজের রুটিন ও রিদম বজায় রাখা এবং কোচ গৌতম গম্ভীর ও আশিস নেহরার সমর্থনের গুরুত্ব নিয়ে নিজের মতামত জানান ওয়াশিংটন সুন্দর।প্রশ্ন: আইপিএলে এমন কোনও নিয়ম আছে যেটা আপনি তুলে দিতে চান? হিন্ট দিই: ‘I’ দিয়ে শুরু...ওয়াশিংটন: আপনাকে এটা দর্শকদের জিজ্ঞেস করতে হবে, কারণ আমি দলের অংশ। আমি নিয়ম পরিবর্তনের ব্যাপারে কিছু করতে পারি না, এমনকি ভাবিও না। দর্শকরাই এর ভালো উত্তর দিতে পারবে এবং অনেক বেশি বিনোদনও দেবে।প্রশ্ন: আপনি সাধারণত খুব একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পান না। রিদম ধরে রাখা কতটা কঠিন হয়ে যায়?ওয়াশিংটন: আসলে ততটা কঠিন নয়, কারণ আমরা প্রতিদিন প্র্যাকটিস করতে পারি। যা খুশি কাজ করতে পারি, বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করতে পারি। রিদম পাওয়া এবং খেলায় টপে থাকা আমার নিজের নিয়ন্ত্রণে। আমি যদি প্রতিটি সেশনে ১০০% দিই, তাহলে আমি আমার সেরা রিদম ও আত্মবিশ্বাস পেয়ে যাব। প্রত্যেক প্র্যাকটিসে আমার উদ্দেশ্যটাই আসল।আরও পড়ুন … ভিডিয়ো: ইডেনের গ্যালারিতে গোয়েঙ্কার দলের অ্যাডমিনের সঙ্গে নাইট ভক্তের ঝামেলাপ্রশ্ন: গৌতম গম্ভীরের সমর্থন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল?ওয়াশিংটন: অসাধারণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গৌতি ভাই আমাকে আমার সামর্থ্য বুঝতে সাহায্য করেছেন, এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে খেলা উচিত সেটা শেখাচ্ছেন। এটা একটা বিশাল লার্নিং এক্সপেরিয়েন্স। তিনি আমাকে নিজের স্কিল সেট বুঝতে সাহায্য করেছেন। নিজের সম্পর্কে জানার মাধ্যমে উন্নতি হচ্ছে, যা আশেপাশের মানুষদের থেকেও পাওয়া যায়।প্রশ্ন: GT-তে আপনি এখন আশিস নেহরার সঙ্গেও কাজ করছেন।ওয়াশিংটন: আমি তাঁকে বহু বছর ধরে চিনি। আমরা আগে RCB-তেও একসঙ্গে কাজ করেছি। তিনি কীভাবে ভাবেন সেটা জানি। তিনি পরিস্থিতি বুঝে খেলা এবং আগেভাগে কন্ডিশন পড়ে নেওয়ার উপর জোর দেন। এই মরশুমে আমরা দল হিসেবে সেটা ভালোভাবে করছি। তিনি বিশ্বাস করেন প্রস্তুতির গুরুত্বে, যা সব খেলোয়াড়দের জন্য কার্যকর।প্রশ্ন: GT-এর সঙ্গে অভিজ্ঞতা কেমন?ওয়াশিংটন: আমি জয়েন করার আগে বন্ধুদের (সাই সুদর্শন এবং সাই কিশোর) সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমরা প্রচুর অনুশীলনের সুযোগ পাই এখানে। স্কিল উন্নত করার জন্য প্র্যাকটিসের ভলিউম অনেক বেশি। যদি আপনি কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেন, তাহলে সেই লক্ষ্য আপনি ছুঁতে পারবেন।আরও পড়ুন … ভিডিয়ো: এটা আমার প্রিয় সিনেমার দৃশ্য… নিজের সেলিব্রেশনের পিছনের আসল গল্প বললেন কেএল রাহুলপ্রশ্ন: আপনার বোলিংয়ে নতুন কিছু যোগ করছেন? ক্যারম বল বা 'মিস্ট্রি' ডেলিভারি?ওয়াশিংটন: নতুন কিছু শেখা মজার, বিশেষত যেগুলো নিজের ন্যাচারাল টেকনিক না বদলে করা যায়। গত এক-দেড় বছরে এই নিয়ে কাজ করছি। বোলিং উপভোগ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যেকোনো ফরম্যাটে হোক না কেন। যত বেশি উপভোগ করবেন আর কাজ করবেন, ততই উন্নতি হবে।প্রশ্ন: এই IPL-এ পিচগুলো ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। একজন অফস্পিনারের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং?ওয়াশিংটন: ফাস্ট বোলারদের জন্যও অনেক সময় সুবিধা থাকে না, প্রথম দুটো ওভার বাদে। তাই এটা পুরোপুরি নির্ভর করে আপনি কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন, সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে সেরা প্রমাণ করছেন।আরও পড়ুন … AFC Asian Cup 2031 আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করল AIFF! দরপত্র জমা দিল ভারত, লড়াইয়ে ৭টি দেশপ্রশ্ন: আপনার পুল শট আর 'নো-লুক' শটগুলো এত নিখুঁত লাগে, কীভাবে শিখলেন?ওয়াশিংটন: খুব ছোটবেলা থেকেই মিডিয়াম ও ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে খেলেছি। ১৩ বছর বয়সে আমি MRF Pace Foundation-এ ব্যাট করতাম ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে। তখন থেকেই বুঝেছি কীভাবে স্পিড সামলাতে হবে। এসব শট এখন ন্যাচারাল হয়ে গেছে। প্রতিদিন প্র্যাকটিস করি বলেই আরও উন্নতি করছি।প্রশ্ন: আপনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। কোন পজিশনে ব্যাট করতে ভালো লাগে?ওয়াশিংটন: টপ অর্ডারে ব্যাট করা মজার, কারণ বেশি বল পাওয়া যায়, বড় ইনিংস খেলার সুযোগ থাকে। কিন্তু যখন দল আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে দরকার, তখনও সেটা চ্যালেঞ্জিং এবং উপভোগ্য। আমার লক্ষ্য সবসময়ই দলের জয় নিশ্চিত করা। তবে টপ অর্ডারে খেলতে গিয়ে সুইং, পেস আর ভালো স্পিন খেলাটাও দারুণ উপভোগ করি।