বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > IND vs ENG 4th Test: ও তো হিন্দি জানে না- বশিরকে স্লেজিং করতে গিয়ে পাল্টা বেকুব হলেন সরফরাজ- ভিডিয়ো
পরবর্তী খবর
IND vs ENG 4th Test: ও তো হিন্দি জানে না- বশিরকে স্লেজিং করতে গিয়ে পাল্টা বেকুব হলেন সরফরাজ- ভিডিয়ো
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 24 Feb 2024, 05:30 PM ISTTania Roy
ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অলি রবিনসন আউট হওয়ার পর শোয়েব বশির ব্যাট করতে আসেন। তখন সরফরাজ সিলি পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন। সেই সময়ে বশিরকে স্লেজিং করেন সরফরাজ। তবে পাল্টা বোকা হয়ে যায় ভারতের উঠতি তারকা।
বশিরকে স্লেজিং করতে গিয়ে নিজেই হাসির খোরাক হলেন সরফরাজ খান।
রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে সরফরাজ খানের অভিষেক হয়। আর অভিষেক টেস্টেই নজর কাড়েন সরফরাজ। দুই ইনিংসে ১৩০ রান করেন তিনি। এবং মিডল অর্ডারের ব্যাটার ধীরে ধীরে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে নিজের একটি শক্তিশালী জায়গা তৈরির চেষ্টাও করেছেন। রাঁচিতে তাঁর দ্বিতীয় টেস্টে ২৬ বছর বয়সী যুবক আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন এবং ব্রিটিশ খেলোয়াড়দের স্লেজিং করতেও তিনি পিছপা হননি। তবে তিনি ভাবতেও পারেননি যে, শোয়েব বশিরকে স্লেজিং করাটা তাঁর নিজের উপরই ব্যাকফায়ার হয়ে আসবে।
ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অলি রবিনসন আউট হওয়ার পর শোয়েব বশির ব্যাট করতে আসেন। তখন সরফরাজ সিলি পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন। সেই সময়ে বশিরকে স্লেজিং করেন সরফরাজ। বলেন, ‘আরে ইয়ার, ইসে পাতা হ্যায় কুছ,কেয়সে খেলনা হ্যায়? ইসে হিন্দি নেহি আতি হ্যায়, বড়িয়া চলো (ও কি জানে, কী ভাবে খেলতে হয়? ও হিন্দিও জানে না। চল বন্ধুরা)।’ সরফরাজ কী বলছেন সেটা ভালো ভাবেই বুঝতে পারেন বশির। এবং দ্রুত ভারতীয় ব্যাটারকে পাল্টা জবাব দেন, ‘থোড়ি থোড়ি আতি হ্যায় (আমি একটু একটু জানি)।’ ভিডিয়োটি ইন্টারনেটে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
তবে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাটিংয়ে বিশেষ কিছু করতে পারেননি শোয়েব বশির। এবং খাতা না খুলেই আউট হয়ে যান তিনি। শোয়েবকে নিজের স্পিনে ফাঁদে ফেলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ৩০২ রান। জো রুট ১০৬ এবং অলি রবিনসন ৩১ রানে ক্রিজে ছিলেন। সেখান থেকে শনিবার দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ড যোগ করে আর মাত্র ৫১ রান। তাতেই তারা বাকি ৪ উইকেট হারায়। ৪ উইকেটই এদিন তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১২২ করে অপরাজিত থাকেন জো রুট। ৫৮ করে আউট হন অলি রবিনসন। এছাড়া বেন ফক্স ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। মিডল অর্ডারে এই তিন জনের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের সৌজন্যেই ইংল্যান্ড দল ৩৫০ রান পেরিয়ে যেতে পেরেছে। ৩৫৩ রানে তারা শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরু থেকেই নড়বড় করছিল। রোহিত শর্মা মাত্র ২ রান করে অ্যান্ডারসনের বলে আউট হন। তখন দলের স্কোর ৪। এর পর শুভমন গিল এসে যশস্বীকে কিছুটা সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও ৩৮ করে আউট হয়ে যান। এদিন ফের ব্যর্থ হন রজত পতিদার। টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর উপর ভরসা রাখলেও, তিনি ১৭ করে আউট হন। রবীন্দ্র জাদেজা ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। চা-বিরতির আগেই ১৩০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। এর মধ্যে রোহিত বাদে তিন উইকেটই তুলে নেন ইংল্যান্ডের শোয়েব বশির। যশস্বীকেও তিনি বোল্ড করেন। ৭৩ করে আউট হন যশস্বী। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ।