মেলবোর্নে টেস্টে পরাজিত হয় ভারত। তবে কিছু ব্যক্তিগত ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সকলের। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। মেলবোর্নে ভারতের প্রথম ইনিংসে যখন টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছিল তখন সবাই ভেবেছিল এবার হয়তো ফলো অনের লজ্জা অপেক্ষা করে রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার জন্য। কিন্তু তখনই ব্যাট হাতে এক অনবদ্য ইনিংস খেলে সেই লজ্জার হাত থেকে ভারতকে বাঁচান তরুণ ক্রিকেটার নীতীশ কুমার রেড্ডি। ১৮৯ বলে ১১৪ রানের অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দেন তিনি। মারেন ১১টি চার এবং ১টি ছয়। এটি তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি ছিল। এবার নীতীশকে নিয়ে প্রশংসার সুর শোনা গেল প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের গলায়।
সুনীল গাভাসকর নীতীশের পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি নীতীশকে অন্যতম উজ্জ্বল তরুণ প্রতিভা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গাভাসকর বলেন, ‘মেলবোর্ন টেস্ট ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম উজ্জ্বল তরুণ তারকা নীতীশ কুমার রেড্ডিকে সামনে এনেছে। ও IPL-এ হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে তার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের নজরে এসেছিল। প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে খুব বেশি কিছু করার আগেই টেস্টে সুযোগ পেয়েছে সে, এর জন্য অজিত আগরকর এবং তার সহ-কর্মীদের যথেষ্ট কৃতিত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ও অভিষেক টেস্ট ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছিল যে সে পরিস্থিতি বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী খেলতে জানে। ধীরে ধীরে ও যত টেস্ট ম্যাচ খেলবে ততো ভালো ক্রিকেট মস্তিস্ক গড়ে তুলতে পারবে। এর আগে পার্থে এবং অ্যাডিলেডেও গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে মেলবোর্নে।
যদিও ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিজের বোলিং দক্ষতা বাড়াতেও সচেষ্ট। যদি বল হাতে তিনি দাগ কাটতে পারেন তাহলে সন্দেহ নেই যে তিনি একজন ম্যাচ উইনার অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। গাভাসকর বলেন, ‘মেলবোর্নে যখন ভারত চাপের মধ্যে ছিল, তখন ও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠে। এই ইনিংসটা ভারতীয় দলে ওর জায়গা পাকা করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের জন্য হার্দিক পান্ডিয়া না থাকায়, ভারত এমন একজন অলরাউন্ডার খুঁজছিল যে মিডিয়াম পেস বোলিং করতে পারে এবং ব্যাটও করতে পারে। রেড্ডির বোলিংয়ে এখনও উন্নতির প্রয়োজন আছে, কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে, এই বয়সে হার্দিক যা ছিল তার থেকে ভালো করছে।’