অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে দুরন্ত পারফরেন্স করেছেন পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি সিরিজে ৩২ উইকেট নিয়ে ভারতীয় দলকে লড়াইয়ে রেখে ছিলেন। বলা ভালো, গোহারা হারের হাত থেকে তিনিই টিম ইন্ডিয়াকে রক্ষা করেন। তবে শেষ টেস্টে তিনি আর খেলতে পারেননি চোটের জন্য।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
ভারতকে খেলায় রেখেছিলেন বুমরাহ-
ভারতীয় দলের বাকি তারকা ব্যাটাররা যখন ফুল ফ্লপ হচ্ছিলেন তখন জসপ্রীত বুমরাহই টিম ইন্ডিয়াকে বারবার খেলায় ফেরাচ্ছিলেন। যার জেরে টিম ইন্ডিয়া মেলবোর্ন টেস্টের আগে পর্যন্ত সিরিজ ১-১ রাখতে পেরেছিল। সিডনিতে যদি বুমরাহ দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারতেন আর ভারত আরেকটু রান পেতে পারত, তাহলেই টিম ইন্ডিয়া লড়াইয়ের জায়গা পেত।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
বুমরাহকে একহাত বলবিন্দরের-
সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই বুমরাহ পিঠের চোটের জন্য মাঠ ছেড়ে চলে যান। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ধরে নেওয়া হয়েছিল, একপ্রকার অতিরিক্ত ওয়ার্কলোডের জন্যই টিম ইন্ডিয়ার এই পেসারের চোট লেগেছে। বা তিনি চোটের কবলে পড়েছেন। যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বলবিন্দর সিং সান্ধু।
আরও পড়ুন- BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
ওয়ার্কলোড নিয়ে বিরক্ত বলবিন্দর-
১৯৮৩র বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য প্রাক্তন জোরে বোলার বলবিন্দর সান্ধু বলছেন, ‘ওয়ার্কলোডের কথা আসছে কোথা থেকে? ও কত ওভার বোলিং করেছে? খুব জোর ১৫০ ওভার। পাঁচ ম্যাচে মানে ৯ ইনিংসে ও বোলিং করেছে অতগুলো ওভার। তার মানে প্রতি ইনিংসে ১৫ ওভার বা ম্যাচে ৩০ ওভার। আর একটানা ওকে অত ওভার বোলিং করতে হয়নি, বিভিন্ন স্পেলে বোলিং করেছে। ’।
আরও পড়ুন- ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
ভারতের জন্য খেলা ভুলে যাওয়া উচিত-
বলবিন্দরের প্রশ্ন, ‘এইটুকু বোলিং কি খুব ওয়ার্কলোডের? ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট শব্দটা একটা ফালতু কথা। এগুলো অস্ট্রেলিয়ান কথা, অজিরা প্রচলন ঘটিয়েছে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট কিছুই না, আমি একদমই সহমত নই। যদি একজন বোলার এক ইনিংসে ২০ ওভারও বোলিং না করতে পারে, তাহলে ওর ভারতের জন্য খেলার কথা ভুলে যাওয়া উচিত ’।