
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ভারতীয় ক্রিকেটে ‘গম্ভীর’ যুগের সূচনা হয়েছে। জুলাইয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গায় ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গৌতম গম্ভীর। দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় রোহিত-বিরাটরা। কোচ হিসেবে গম্ভীরের শুরুটা ভালো-মন্দ মিশিয়েই। তাঁর প্রশিক্ষণে শ্রীলঙ্কায় ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করে ভারত, আবার ওডিআই সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়। গম্ভীরের মধ্যে বরাবরই নেতৃত্ব প্রদানের এক দক্ষতা রয়েছে। তিনি অন্যদের থেকে সব সময় সম্পূর্ণ আলাদা কিছু করার প্রচেষ্টা করে থাকেন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলোয়াড় এবং মেন্টর হিসেবে তাঁর সাফল্য নজর কাড়া । কলকাতার ৩ বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে তাঁর অবদান ভোলার নয়।
বিগত দিনে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তাঁর সতীর্থদের সম্পর্কের বহু কাহিনি সামনে এসেছে। বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা সবার জানা। দু’জনই দিল্লির হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেন। সম্প্রতি আইপিএলে এক ম্যাচে প্রকাশ্যে তাঁদের ঝামেলায় জড়াতে দেখা যায়। তবে আইপিএল ২০২৪-এর মঞ্চে দু’জনকেই অতীতের তিক্ততা ভুলে করমর্দন করতে দেখা গেছে। এবার আকাশ চোপড়া গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তাঁর প্রতিযোগিতামূলক লড়াইয়ের কাহিনি তুলে ধরলেন। দু’জনই দিল্লির হয়ে ক্রিকেট খেলতেন। দু’জনই ওপেনার ব্যাটসম্যান ছিলেন। তাই প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়ার জন্য দু’জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগে থাকত। আকাশ চোপড়া তুলে ধরেছেন সেই সময় গম্ভীর কেমন আগ্রাসন মনোভাব দেখাতেন খেলার জন্য। এই আগ্রাসনই এখন পরিচয় হয়ে উঠেছে গৌতম গম্ভীরের।
আকাশ চোপড়া ইউটিউবে রাজ শামানির সঙ্গে এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে বলেন, ‘সেই সময় আমার ও গম্ভীরের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলতে থাকত কে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেবে। তখন দিল্লির দল অনেক ভালো ছিল। এমন পরিস্থিতি ছিল বিরাট কোহলি এবং শিখর ধাওয়ানের মধ্যে যেকোনও একজন প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পেতেন। এমনকি বীরু (বীরেন্দ্র সেহওয়াগ) ওপেন করার সুযোগ পেতেন না, তিনি চতুর্থ স্থানে ব্যাট করতে নামতেন। ৩ নম্বরে বিরাট অথবা শিখরের মধ্যে যেকোনও একজন সুযোগ পেতেন’। আকাশ চোপড়া কোনও রাখঢাক না রেখে জানান, শুরুতে তিনি এবং গম্ভীর মোটেও বন্ধু ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। সত্যি বলতে, আমরা বন্ধু ছিলাম না সেই সময়। গম্ভীর ক্রিকেটের প্রতি খুব উৎসাহী ছিলেন, একই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমীও ছিলেন। ব্যাট হাতে তিনি প্রচুর রান করতেন। কিন্তু দ্রুত মেজাজ হারিয়ে ফেলতেন। আকাশ বলেন, ‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন গম্ভীর। তাঁকে পয়সার জন্য ক্রিকেটের উপর নির্ভর করতে হতো না। তাঁর পরিবার যথেষ্ট বড়লোক ছিলেন। তবুও তাঁর খেলার প্রতি ভালোবাসা ও নিষ্ঠা দেখার মতো ছিল’।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports