সামনেই রয়েছে দুর্গাপুজো। আর তার হাত ধরেই উৎসবের ঢাকে পড়তে চলেছে কাঠি। দুর্গাপুজোর পরই রয়েছে কালীপুজো, ছট-র মতো উৎসব। এদিকে, এই উৎসবের মরশুমে এবার বিহার ও বাংলার রেলপথ যোগাযোগে আরও এক অধ্যায় জুড়ল। বিহারের কাটিহার থেকে বাংলার শিলিগুড়ি পর্যন্ত ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবার ছুটতে আরম্ভ করছে। সোমবারই এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াচ্ছে ট্রেন?
এবার পূর্ণিয়া থেকে উত্তর-পূর্বে যাওয়া যাত্রীদের জন্য যাত্রা আরও সহজ হতে চলেছে। দার্জিলিং এবং গ্যাংটক যাওয়া যাত্রীদের জন্য ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের চলাচল খুবই উপকারী। কাটিহার থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ইন্টারসিটি ৫ ঘন্টারও কম সময়ে ২০০র বেশি কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। রেলযাত্রী অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী কাটিহার-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি কাটিহার থেকে ৬ টা ০৫ মিনিটে ছাড়বে, এরপর পূর্ণিয়া জংশনে পৌঁছাবে, তারপর কাসবায়, এরপর জালালগড়ে। এরপরের স্টপেজ আরারিয়া কোর্ট। ট্রেনটি রহমতপুর, বাঁশবাড়ি, খাবাসপুর, লক্ষ্মীপুর, কালিয়াগঞ্জ, তেধাগাছ, বিবিগঞ্জ, পাউয়াখালী, ঠাকুরগঞ্জ, গালগালিয়া, নকশালবাড়ি, বাগডোগরা হয়ে ১০.৩০ মিনিটে শিলিগুড়ি পৌঁছাবে। যদিও অন্য এক সূত্র বলছে, কাটিহার থেকে ভোর ৫ টায় সফর শুরু করবে ট্রেন, সকাল ১০.১৫ মিনিটে ট্রেন পৌঁছবে শিলিগুড়ি।
তারপর এই ট্রেনটি শিলিগুড়ি থেকে দুপুর ২ টোয় মিনিটে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭ টায়কাটিহার জংশনে পৌঁছাবে। যদিও অন্য এক সূত্র বলছে, বেলা ১২. ৪৫ মিনিটে ট্রেন শিলিগুড়ি ছাড়বে ও সন্ধ্যা ৬ টা ৫ মিনিটে পৌঁছবে কাটিহার। এই ট্রেন সপ্তাহে প্রতিদিন চলবে। ট্রেন থাকবে আন-রিজার্ভড।
( ICCর জবাবে ঢোঁক গিলছে PCB? সূর্যকে নিয়ে ঘৃণ্য মন্তব্য ইউসুফের, খবরে আফ্রিদিও)
এদিকে, দানাপুর এবং যোগবানির মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এই ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন চলবে। দানাপুর থেকে চলাচলকারী ট্রেন মঙ্গলবার ছাড়া বাকি সব দিন চলবে এবং ফোর্বসগঞ্জ থেকে চলাচলকারী ট্রেন বুধবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন চলবে।
জানা যাচ্ছে, ট্রেনটির গড় গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৪৩.১২ কিলোমিটার। একইভাবে, বন্দে ভারত পূর্ণিয়া জংশন এবং বনমানখি জংশন হয়ে দানাপুর যাবে। অমৃত ভারত সপ্তাহে একবার ইরোডের জন্য চলাচল করবে। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’র খবর অনুসারে, বন্দে ভারত ট্রেনটি ফোর্বসগঞ্জ থেকে ১৫.৩০ মিনিটে ছাড়বে। এটি আরারিয়া কোর্টে ১৫.৫৫ মিনিটে পৌঁছাবে এবং ১৫.৫৭ মিনিটে ছাড়বে। এটি পূর্ণিয়া জংশনে ১৬.৫০ মিনিটে পৌঁছাবে এবং ১৭.০০ মিনিটে ছাড়বে। এটি বনমানখি, দৌরাম মাধেপুরা, সহরসা, খাগারিয়া, সমস্তিপুর, মুজাফফরপুর, হাজিপুর হয়ে ২৩.৪০ মিনিটে দানাপুর পৌঁছাবে। বন্দে ভারত ট্রেনটি ৪৫৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। ট্রেনের গড় গতি হবে ৫৫.৪৭ কিমি, প্রতি ঘণ্টা। এছাড়া যোগবানি থেকে ইরোড পর্যন্ত সাপ্তাহিক অমৃত ভারত ট্রেনটি ৬৩.৫০ ঘন্টায় ৩১২৯ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে।