শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়কে ঘেরাও করে রাখলেন কলেজের এমবিবিএস পড়ুয়া এবং ইন্টার্নদের একাংশ। সম্প্রতি একজন কর্তব্যরত ইন্টার্নকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। অধ্যক্ষ প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করলেও আন্দোলন স্থগিত না হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তেজনামূলক হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: মেডিক্যালে রক্তদান শিবির ঘিরে ডাক্তারি পড়ুয়াদের সংঘর্ষ, গঠিত হল তদন্ত কমিটি
আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, মহিলা ইন্টার্নসহ দু’জনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এবং কলেজের অন্য ইন্টার্ন ও ছাত্রদের ওপর প্রভাব বিস্তার ও ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, অধ্যক্ষ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি না দেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া, তারা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটানোর ব্যবস্থা নিতে এবং দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার নবদ্বীপ শীল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, বরং তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন অভিযোগকারী ইন্টার্ন। তিনি বলেছেন, তিনি শুধু আত্মরক্ষা করেছেন। অভিযুক্ত ইন্টার্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অধ্যক্ষ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকে পাঠালে আন্দোলনকারীরা ১৬ ঘণ্টা ধরে চেম্বারে আটকে রাখেন। এখনও তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় শনিবার রাত সাড়ে সাতটায় জানান, তিনি এখনও চেম্বারে রয়েছেন এবং ছাত্রছাত্রীরাও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই নিয়ম অনুযায়ী একজন মহিলা চিকিৎসকসহ পাঁচজন বিভাগীয় প্রধানকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অধ্যক্ষ জানান, কমিটি নিয়ম মেনে উভয় পক্ষের অভিযোগ যাচাই করবে। রাতারাতি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি চেষ্টা করছেন, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে।