ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ছয় দিন। কিন্তু এখনও কোনও ‘পোক্ত’ লিড পায়নি পুলিশ। তবে পুলিশের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখছেন কন্যাহারা কুসুম। ছোট মেয়ে ঈশিতাকে গত সোমবার দিনে দুপুরে খুন করে যায় দেশরাজ সিং নামের এক যুবক। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এই যুবকের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একটি টিম। উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গাতেও তল্লাশি চালিয়েছে টিমটি। নিহত ঈশিতার বাবা-মায়ের দাবি, তাঁকে খুঁজে বার করে ফাঁসি দেওয়া হোক।
কী বলেছিল দেশরাজ?
সেদিনের ঘটনার কথা মনে পড়লেও এখনও আতঙ্ক বোধ করছেন ঈশিতার মা কুসুম। কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা তারা। গত সোমবার তিনি ছেলেকে আনতে স্কুলে গিয়েছিলেন। দুপুর ২টো ২০ নাাগাদ বাড়ি ফিরতেই দেখেন সিঁড়ি দিয়ে একটি ছেলে নেমে আসছে। ছেলেটি তাঁকে দেখতেই ‘আন্টি আপকে সাথ বাত করনা হ্যায়!’ বলেছিল বলে দাবি কুসুমের। কিন্তু কুসুম সতর্ক হয়ে যান সঙ্গে সঙ্গে। জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কে।’ সেই সময় দুবার ফায়ার করে দেশরাজ। সম্ভবত তা ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার ছিল। এর পরেই নাকি ছেলেটির সঙ্গে কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হওয়ার পর সে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন - কাঞ্চন মল্লিক দেখা দেন শুধু ‘মোবাইলে’! অভিযোগ উড়িয়ে কী বললেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক
কী দেখলেন কুসুম?
সংবাদমাধ্যমকে কুসুম বলেন, এই ঘটনার পর তিনি উপরে উঠে গিয়ে দেখেন, তাঁর মেয়ে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। চেঁচামেচি করে আশেপাশের লোককে ডাকতে যাওয়ার আগেই এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায় দেশরাজ।
আরও পড়ুন - সুপ্রিম নির্দেশ মেনে ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকা দিল SSC, রয়েছে ধোঁয়াশা? লিস্টে কতজন
কী বলছেন ঈশিতার বাবা?
ঈশিতার বাবা দুলাল মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেশরাজের কোনও যোগাযোগ ছিল কি না তা তিনি জানতেন না। ফোন আসত কি না তাও জানতেন না। এই ব্যাপারে কিছু জানতেন না কুসুমও। দেশরাজকে একমাত্র চিনত ঈশিতার ভাই। ক্লাস এইটের পড়ুয়া ঈশিতার ভাইই তাঁকে কাঁচরাপাড়ায় স্কুলের কাছে একটি মাঠে খেলতে দেখেছিল। পুলিশি জিজ্ঞাাসাবাদের সময় সে-ই দিদির খুনিকে দেশরাজ বলে চিহ্নিত করে।