ট্যাংরার দে পরিবার হত্যাকাণ্ডে প্রায় সাড়ে তিন মাস পর শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। শনিবার শিয়ালদা আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রথম শুনানি হয়। আদালত সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলের ছবি তোলা ফটোগ্রাফারই প্রথম সাক্ষ্য দেন। তবে তাঁর জবানবন্দি শেষ হয়নি। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী তপন রায় জানান, পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: নতুন জীবন শুরু করল কিশোর প্রতীপ, মা–কাকিমা–দিদিকে হারিয়েছে দে পরিবারের ছেলে
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। ভোররাতে বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে প্রসূন এবং প্রণয় দে-র গাড়ি। তাঁদের সঙ্গে ছিল প্রসূনের নাবালক পুত্র প্রতীপ দে। সেই দুর্ঘটনার সূত্র ধরেই ট্যাংরার অতল শূর রোডের চারতলা বাড়ি থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হয়েছিল দে পরিবারের তিন সদস্যের দেহ। এরমধ্যে পরিবারের দুই বধূ রোমি দে এবং সুদেষ্ণা দে-র মৃত্যু হয় হাতের শিরা কেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে। অন্যদিকে, পরিবারের কিশোরী প্রিয়ম্বদা দে’র মৃত্যু হয় খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, তাঁদের খুন করা হয়েছে। এদিকে, পথ দুর্ঘটনার পর থেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনজন। প্রসূন, প্রণয় এবং প্রতীপ। তারপর চিকিৎসায় সেরে উঠে প্রথমে প্রসূন দে জেলে যায়। তারপর কিশোর প্রতীপ দে সুস্থ হয়ে হোমে যায় এবং অবশেষে প্রণয় দে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই প্রণয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রসূণ পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন। এদিকে, ঘটনার রাতে তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা কোনও দুর্ঘটনা ছিল বলেই দাবি করেন অভিযুক্তরা। তাঁদের দাবি ছিল, তাঁরা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। অন্যদিকে, নাবালক সদস্য অভিযোগ করে, তার কাকা তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তদন্তে দুই ভাইকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যার চেষ্টার ধারায় চার্জশিট জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।