
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল গোটা পরিবার। তাই দে ব্রাদার্স সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গোটা পরিবারকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার। এমনকী নিজেদেরও। পরিকল্পনা বেশিরভাগ সফলও হয়েছিল। কিন্তু পুরোটা নয়। ট্যাংরার অতল শূর রোডের ‘চিত্তনিবাস’ পর পর হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী। তবে বেঁচে গিয়েছে দুই ভাই এবং এক ছেলে। তখনই গোটা ঘটনা সামনে আসে। সরল মনে বাবা–কাকাকে বিশ্বাস করেছিল ১৪ বছরের প্রতীপ দে। সুন্দর জীবন ছিল তার। এক লহমায় সব উলটে গিয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতীপের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে।
প্রতীপ নিজেও সাক্ষী। সে নিজে চোখে দেখেছে মা, কাকিমা আর দিদির মৃত্যু। খুনের অভিযোগে এখন জেল খাটছে তার কাকা। বাবা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে নিজেও হাসপাতালে ছিল বেশ কিছুদিন। এখন শিশুকল্যাণ কমিটির দৌলতে ওই কিশোরের ঠিকানা ‘হোম’। তারাই প্রতীপকে নতুন স্কুলে ভর্তি করছে। সেখানে নতুন করে তার জীবনযুদ্ধ শুরু হবে। আগামী সপ্তাহেই নতুন স্কুলে ভর্তি হবে প্রতীপ বলে খবর। কিন্তু সেখানে যদি শুনতে হয় খুনির ছেলে! তাহলে কী হবে? জীবনযুদ্ধ এখানেই। যেখানে সে নিজে অপরাধী নয়, বরং তাকেও এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রেলের জমিতে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির পার্টি অফিস, খোদ খড়গপুরে উচ্ছেদের নোটিশ পড়ল
তারিখটা ছিল ১২ ফেব্রুয়ারি। ট্যাংরার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রতীপের মা রোমি দে, কাকিমা সুদেষ্ণা দে এবং খুড়তুতো দিদি প্রিয়ম্বদার দেহ। কাকা প্রসূন দে সকলকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। আর প্রতীপ এবং তার বাবা প্রণয়কে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়েন প্রসূন দে। যেটা পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তখনই তিনজন গুরুতর জখম হন। আর এই হাড়হিম খুনের ঘটনা সামনে আসে। দু’সপ্তাহ আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে কিশোর প্রতীপ। হোমে গিয়ে অন্যরকম জীবন কাটাচ্ছে। যেখানে তার মা, বাবা, দিদি, কাকিমা কেউ নেই। একার জীবন।
হোমের বাকি শিশুরা যে স্কুলে পড়ে সেখানে প্রতীপকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করা হচ্ছে। শিশুকল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন মহুয়া শূর রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতীপের পুরনো স্কুলের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সেখান থেকে ওকে টিসি দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহেই প্রতীপকে নতুন স্কুলে ভর্তি করা হবে।’ প্রতীপ এখন প্রায় ১৫ বছর বয়স। প্রতীপকেও খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মরার ভান করে সে বেঁচে যায়। সেই কথা ভোলেনি প্রতীপ। আজ এই পৃথিবীতে কার্যত একা প্রতীপ। তার মধ্যে জীবনযুদ্ধ করতে হচ্ছে। কৌশর থেকে যৌবনে যখন যাবেন প্রতীপ তখন আরও অনেক কিছু সহ্য করতে হবে। প্রতীপ পারবে তো? সেটা সময়ই বলবে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports