খাবার জল শেষ। এদিকে রাস্তার পাশে থাকা সুলভ শৌচালয়গুলিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আবহে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষকদের চরম হুঁশিয়ারি গভীর রাতে। তাঁদের অভিযোগ, বায়োটয়লেটের ব্যবস্থা পর্যন্ত করে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতি না বদলালে এসএসসি ভবনে ঢুকেই টয়লেট ব্যবহার করবেন আন্দোলনরত শিক্ষিকারা। উল্লেখ্য, এসএসসি ভবনের সামনে রাতভর আন্দোলন জারি রেখেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। (আরও পড়ুন: রাত ১টার সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চাকরিহারা শিক্ষকদের, কী বললেন ডিসি?)
আরও পড়ুন: হোটেল থেকে অর্ডার করা হয়েছিল খাবার, SSC ভবনে ঢুকতে দিলেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা
পুলিশকে আন্দোলনকারীদের কড়া চ্যালেঞ্জ, টয়েলেটের ব্যবস্থা না করা হলে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই এসএসসি ভবনে ঢুকতে তাঁরা বাধ্য হবেন। এই আবহে শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, মহিলাদের টয়লেট ব্যবহার করার ব্যবস্থা করছে না প্রশাসন। এরপর আমরা এসএসসি ভবনে ঢুকে জল ও টয়লেট ব্যবহার করতে বাধ্য হব। আমাদের আটকাতে পারলে আটকে দেখাক পুলিশ। এদিকে অপর এক শিক্ষিকা বলেন, 'আমাদের মান-সম্মান চলে গেল। কী ভাবছে কুকুর ছাগল? পুলিশদের জন্যও টয়লেট খুলুক।'
এদিকে এই অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে শিক্ষকরা বলেন, 'যতক্ষণ না লিস্ট (যোগ্য শিক্ষকদের) আপলোড করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। চেয়ারম্যানকে বের হতে দেওয়া হবে না।' এদিকে আন্দোলনকারীরা সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে আবেদন জানান, যাতে তাঁরা শিক্ষকদের এই আন্দোলনে পাশে এসে দাঁড়ান। এদিকে আন্দোলনকারীদের টয়েলেটের সমস্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে সরব হয়েছেন। সল্টলেক নিবাসী অনেকেই আবার পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, চাকরিহারা শিক্ষকরা প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতে এসে টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন।
অপরদিকে রাতে পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয়েছে আন্দোলনকারীদের। রাত ১টা নাগাদ পুলিশের সঙ্গে একবার ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয় আন্দোলনকারীদের। তবে টলানো যায়নি চাকরিহারাদের। দাবি করা হয়, রাতে বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা নাকি এসএসসি ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে বের করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ আন্দোলনরত শিক্ষকদের। সেই সময় পুলিশকে বাধা দেন শিক্ষকরা। চাকরিহারাদের অভিযোগ, তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে, সাদা পোশাকের এক পুলিশকর্মীকে এসএসসি কর্মী ভেবে ভুল করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তা নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি হয়, পরে সেই সমস্যা মিটে যায়।